হঠাৎ কারে অসুস্থ হয়ে পড়লো তরুনী। রোগ সারানোর জন্য ডাকা হলো তার নিকট আত্মীয় মহেন্দ্র মেহতা নামে এক তান্ত্রিককে। রোগ সারানোর বিপরীতে তান্ত্রিক ওই তরুনীকে একা একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। আর এর প্রতিশোধ নিতে তান্ত্রিকের লিঙ্গ কেটে দিল ধর্ষিতা তরুণী। ওই তান্ত্রিক তরুণীটির খালার স্বামী।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২ জুলাই বিহারের মাধেপুরা জেলায়। ৩০ জুলাই ওই তরুনী থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১ জুলাই ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়ে । পরে তরুনীটির মা তার ভগ্নিপতি মহেন্দ্র মেহতাকে বাড়িতে ডাকেন। এ সময় মহেন্দ্র জানায়, ওই তরুণীর ওপর ভূত ভর  করেছে। এরপর সে মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্জন একটি ঘরে ঢোকে। সেখানে সে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তরুণী বাধা দিলে মহেন্দ্র তার মুখ চেপে ধর্ষণ করে ।

ধর্ষণের পরের দিন মহেন্দ্র আবারও ওই তরুণীর বাড়িতে যায় । তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না।  ধর্ষিত হওয়ার লজ্জা, অপমান, ক্ষোভে গুমরে মরছিল নির্যাতিতা।  এ সময় তরুনীর সঙ্গে ছিল ধারাল ছুরি এবং মোবাইল ফোন। মহেন্দ্র তরুনীটির ঘরে ঢুকলেই সে মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডার অন করে দেয়। এ সময় মহেন্দ্র তাকে আবার ধর্ষণ করতে উদ্যত হলে  ধারালো ছুরির কোপ বসিয়ে দেয় পুরুষাঙ্গে। এ সময় তরুণীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি মহেন্দ্র। মহেন্দ্রর ওপর এভাবে প্রতিশোধ নিয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ওই তরুণী।

পরে বাবা-মাকে নিয়ে পুলিশের কাছে যায় সে। কিন্তু এক্ষেত্রে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ পুরো ঘটনা চেপে যাওয়ার পরামর্শ দেয় বলে অভিযোগ।

পরে সালিশি সভা বসে। সেখানে ওই তরুণীকে ডেকে পাঠানো হয়। শেষপর্যন্ত গত ৩০ জুলাই মাধেপুরার মহিলা থানায় কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হয় ওই তরুণী। তরুণীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্যও পাঠানো হয়েছে।

জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনায় নির্যাতিতা অভিযোগের ভিত্তিতে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।তান্ত্রিককে ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।