প্রযুক্তি গুরু! নেট গুরু! লাভ-গুরুর কথা কারও অজানা নয়। তবে, সেক্স-গুরুর কথা এবাব উঠে সংবাদ শিরোনামে। ৯০ বছরের এই সেক্স গুরুর পরামর্শ পেতে মরিয়া কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী৷ উৎসুক আট থেকে আশি।

মহিন্দর বস্ত৷ পেশায় চিকিৎসক। কিন্তু, তাঁর পরিচয় সেক্স গুরু হিসেবেই৷ বয়স ৯০ বছরের বৃদ্ধ। তাঁর সেক্স এবং জীবন সম্পর্কিত পরামর্শের সুফলে ভারতের হাজারো মানুষের জীবন সুখের হয়েছে।

ভারতের একটি সংবাদপত্রে সেক্স-গুরু মহিন্দরের জীবনশৈলি এবং যৌন সংক্রান্ত কথা ছাপা হয়। তাঁর এই কলাম পড়ার জন্য সপ্তাহ ধরে উৎসুক হয়ে থাকেন হাজার হাজার পাঠক। গত ৫০ বছর ধরে তিনি তাঁর এই কলামের মাধ্যমে হাজার হাজার পুরুষ-মহিলার যৌন জীবনকে রঙিন করেছেন। যৌন সংক্রান্ত নানা ভয়-ডরকে জয় করার পরামর্শ এবং সাহস জুগিয়েছেন সেক্স-গুরু মহিন্দর।

যৌনজীবনকে মধুর করে তুলতেই এই দেশের রচিত হয়েছে কামসূত্রের মতো গ্রন্থ। এই দেশেই আবার বহু মানুষ যৌন সমস্যা নিয়ে জর্জরিত। অনেক ভারতীয় মহিলা-পুরুষেরই সেক্স নিয়ে নানা ভয়-শঙ্কা রয়েছে। এমনকি, যৌন শিক্ষা সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বহু সংসার ভেঙেছে। বিপথগামী হয়েছেন নারী-পুরুষ৷ এই সমস্ত যৌনভীতি দূর  করতে গত ৫০ বছর ধরে যৌন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার কাজ করে চলেছে সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই মহিন্দর।

এক সাক্ষাৎকারে মহিন্দর বলেছেন, ‘সেক্স একটি আনন্দদায়ক বিষয়। কিন্তু, কিছু লেখক ভারি ভারি শব্দ ব্যবহার করে একে মেডিক্যাল সায়েন্সের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে বিষয়টিকে গম্ভীর করে তোলে।’

ছোট জবাব!

সেক্স গুরু মহিন্দরের জবাব হয় খুব ছোট ছোট এবং প্রাসঙ্গিক৷ কখনও কখনও তাঁর জবাব শুনে হাসিও পেয়ে যায়। তিনি বলছেন, আমি মানুষের সঙ্গে জড়িত শব্দতেই কথা বলি এবং জবাব দিই। এতে প্রশ্নদাতারাও স্বীকার করে নেন৷ মানুষ সহজ সরলভাবেই শুনতে ভালবাসে। এতে সমস্যা অনেকটা দূর হয়ে যায়।’ আর তার এই সেক্স সম্পর্কিত পরামর্শ এতটাই সাবলীল যে  হাজার হাজার মানুষ তাদের যৌনজীবনকে  নতুনভাবে ফিরে পাচ্ছেন। মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়তে নব্বইয়ের সেক্স-গুরুর।