কমলগঞ্জের শমশেরনগর ও চাতলাপুর সড়কে হরতাল ঘোষণা করেছে সীমান্তের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। ঈদের পূর্ব মুহূর্তে  হরতাল ঘোষণা করায় ব্যাংকিং লেনদেন ও হাটবাজারে আসতে না পরায় শরীফপুর মানুষের চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিজিবি’র সচেতনতা মুলক মতবিনিয়ম সভায় মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা ও সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সন্ধ্যার হরতালের ডাক দেন।

জানা যায়, ১৯ জুলাই বিকালে ১৪ নং বিজিবি ব্যাটেলিয়নের আয়োজনে শরীফপুরের আমতলা বাজারে সীমান্তে মাদক, চোরাচালান প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজিবি ১৪ নং ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল চৌধুরী সাইফ উদ্দীন কাওছার মাদক ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

এ ঘটনার সূত্র ধরে মাদক মঙ্গলবার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তানু মিয়ার বড় ভাই শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন চিনুর সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের বাকবিতন্ডা হয়। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীর ভাই ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় আমতলা বাজারে প্রতিবাদ সভা করেন। প্রতিবাদ সভার শেষ পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান আজ বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা সীমান্তবর্তী শরীফপুর ইউনিয়নে হরতালের ডাক দেন। হরতালের সমর্থনে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত মাইকিং করা হয়।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শরীফপুর কোন প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। হরতাল আহ্বানকারী  ইউপি চেয়ারম্যান ছোট ভাই মাদক ব্যবসায়ী তানু মিয়াও সহযোগীদের নিয়ে শরীফপুর-শমশেরনগর সড়কের চাতলা ঘাট ও চাতলাপুর চা বাগান চৌমুহনা এলাকা অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। এতে করে শত শত মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। শরীফ ইউনিয়নবাসী কমলগঞ্জের শমসেরনগর বাজারে  কেনাকাটা করেন। ঈদ পূর্ব মুহুর্তের এই হরতালের কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন।

সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে দুপুর ১২ টায় মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার ও কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে কুলাউড়া থানার একটি ও  এসআই মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মৌলভীবাজার থেকে আসা পুলিশের একটি দল নিয়ে শরীফপুর ইউনিয়নে টহলে বের হয়। পুলিশি উপস্থিতে হরতালকারীরা সরে গেলেও আবার একত্রিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে সিএনজি অটোরিক্সা সমূহ প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।

কুলাউড়া থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ আতিকুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাই মাদক ব্যবসায়ীকে রক্ষা করতে শরীফপুর ইউপি চেয়ারম্যান এখন সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই হরতাল করছেন।