জমে উঠেছে দীঘিনালার ঈদ বাজার
ঈদ মানে আনন্দ! ঈদ মান খুশি। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় আনন্দ ঈদ উৎসব। ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে প্রত্যেক পরিবার তার সদস্যদের নিয়ে ঈদের নতুন জামা কাপড় ইত্যাদি কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সবাই। তারই উপলক্ষ্য হিসাবে ঈদকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাজারে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা ।
বড় বড় দোকান থেকে শুরু করে ছোট দোকান কোথাও কমতি নেই ক্রেতাদের উপস্থিতি।এক দোকান থেকে আরেক দোকানে নতুন কিছু কেনার জন্য ছুটছেন ক্রেতারা।দীঘিনালার সবচেয়ে বড় বাজার বোয়ালখালীতে (নতুন বাজার) ঈদ বাজার করতে দূর দূরান্ত থেকে ছোট বড় সবাই কেনাকাটা করতে ছুটে আসছেন এখানে। এ ছাড়া, উপজেলা সদরের দীঘিনালা বাজার, মেরুং বাজার, বাবুছড়া বাজার গুলোতেও ঈদ বাজার জমে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বোয়ালখালীর (নতুন বাজার) নাছির ক্লথ, বিগ স্টার ফ্যাশন, মুন্নি স্টোরসহ বেশকিছু বড় দোকানগুলোতে বসার স্থান পাচ্ছেনা ক্রেতারা। দোকানগুলোতে রয়েছে নতুন ফ্যাশন ও আধুনিক ডিজাইনের পোশাক ও অলংকার সামগ্রী, মহিলাদের নানা বাহারি শাড়ি, কাতান, ব্লক, জামদানি, টিসু, কোটা ও মসলিনের শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়া, ছেলেদের আকর্ষণীয় পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, বাচ্চাদের নানা ডিজাইনের পোশাক।
কাতান শাড়ী পাওয়া যাচ্ছে তিন থেকে চার হাজার টাকায়, জামদানি শাড়ী এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকা, নেট টিসু শাড়ী পাওয়া যাচ্ছে দুই থেকে সাত হাজার টাকায়। লেহেঙ্গা পাওয়া যাচ্ছে দুই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। মেয়েদের থ্রী পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এবার মেয়েদের জন্য স্পেশাল ড্রেস 'পাখি' থ্রি পিছ পুরো বাজার দখল করে রেখেছে। পাখি থ্রি পিছ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে।
ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের বাজারে কাপড়ের দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে। নির্ধারিত বাজেটে কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা রীতিমত হিমসিম খেলেও সাধ্যমত নতুন কাপড় কিনে বাড়ী ফিরছেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।