তারা পাকিস্তানের এজেন্ট: জয়
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ ও পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ড গণতান্ত্রিক ছিল না, আমরা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি নিয়ে কথা বললেও দেশের রাজনীতিতে এখনও এমন একটি পক্ষ আছে যারা স্বাধীনতায়ই বিশ্বাস করে না। তারা এখনও মনেপ্রাণে পাকিস্তানের অংশ হয়ে যেতে চায়। যারা জিন্দাবাদের অনুসারী, তারা পাকিস্তানের এজেন্ট, যারা পাকিস্তানের এজেন্ট তাদের পাকিস্তানেই ফিরে যেতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হোটেল লেকশোরে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে গণতন্ত্র ও ভবিষ্যত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন জয়।
জয় বলেন, ‘এই যে তারা সমুদ্রসীমার জয় নিয়ে বাইরে বসে হাউকাউ করেন, এই যে বিজয় হলো, এই সংবাদটাও হয়তো তারা বুঝতে পারছেন না।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘১৯৮০ সালের ম্যাপে দেখবেন, তালপট্টি বাংলাদেশের নেই। তালপট্টি ভারতকে দিয়ে দেওয়া হয়। তার মানে কি সে সময় জিয়াউর রহমান ভারতকে তালপট্টি দিয়ে দেন?’
জয় বলেন, তালপট্টি নিয়ে একটি মহল মিথ্যাচার করছে। যারা তালপট্টি নিয়ে এমন মিথ্যা প্রচার করছে, তাদের বলবো আপনারা সেখান থেকে ঘুরে আসুন। আশা করি তালপট্টিতে সাঁতার কাটতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, অতীতেও মিথ্যাচার ছিল, বর্তমানেও চলছে। পঁচাত্তরের পরও মিথ্যাচার হয়েছে। তবে একসময় সত্যের জয় হয়েছে। পঁচাত্তরের পর আমাদের গণতন্ত্রের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। অনেক জুলুম, নির্যাতন সহ্য করে গণতন্ত্রের পথে এসেছি। গণতন্ত্র মানে শুধু ভোট দেওয়া নয়। ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মুক্তমতের স্বাধীনতাই গণতান্ত্রিক অধিকার। স্বৈরাচারদের আমলে আমাদের সে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
জয় দাবি করেন, নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার আর ভারত পেয়েছে মাত্র ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার।
জয় বলেন, রাজাকার ও মীরজাফররা থাকে বলেই যুগে যুগে মিথ্যা প্রচার হয়ে চলেছে। একাত্তরে যেমন রাজাকার ছিল, এখনও তাদের মতো দেশের বিরুদ্ধে কিছু ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের শিক্ষার দৌঁড় কতদূর আমরা তা ভালো করে জানি। কিন্তু ইদানীং তাদের পক্ষে যারা সাফাই গাইছেন তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, সমুদ্রে বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে টকশোগুলোয় যারা বিতর্ক করছেন তাদেরও মৌলিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। বাংলাদেশ যে সমুদ্রের বিশাল অংশ জয় করে নিয়েছে তা যে তারা বুঝতে পারেননি, সেটা তাদের ক্লাস ওয়ানের অংকও না বোঝার পরিচয় বহন করছে।
সভায় সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এ আরাফাতের সঞ্চালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আলী জাকের, শিক্ষাবিদ ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত, সাংবাদিক গোলাম সারোয়ার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ প্রমুখ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।