আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সমুদ্র জয়ের পর তিনি তালপট্টি নিয়ে তাল-বেতাল হয়ে গেছেন। ‘তালপট্টির তাল যদি বেতাল হয়ে যায় তবে পট্টি আর কতটুকু ভাল থাকবে। সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি হওয়ায় এখন তাল ও নেই বেতালও নেই। ফলে তার (খালেদা) ভারত বিদ্বেষী রাজনীতিতে তার একটি উইকেট পড়ে গেছে’।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চলমান রাজনীতিবিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু একাডেমি এ সভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, এখন বিশ্বায়নের যুগ। সবাই সব জানে ও দেখে। ফলে খালেদা জিয়া এখন হালে পানি পাচ্ছে না। এখন অন্ধকার ও মিথ্যাচারের রাজনীতির কোনো স্থান নেই।

সুরঞ্জিত বলেন, এই মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিচার হোক। এখানে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এই বিচারে একজন ভারতীয়সহ পাঁচজন বিদেশি বিচারক ছিলেন। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে আপত্তি জানালে পরে স্থান পরিদর্শন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেওয়া হয়েছে। যাতে বাংলাদেশ এই সীমানা পেয়েছে। এখানে শুধু বিচারকই ছিল না। জলবায়ু বিশেষজ্ঞ আইনজীবীরাও ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সকল দেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আছে সেগুলো প্রাথমিকভাবে সমাধান না হলে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমেই সমাধান হওয়া উচিত।

সংগঠনের উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু,  কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক সদস্য আসাদুজ্জামান দূর্জয়, সংগঠনের সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির মিজি, রূপালী ব্যাংকের পরিচালক ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির হোসেনসহ আরো অনেকে।