মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকী আজ
মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকী শুক্রবার
নুরুল আলম, মিরসেরাই (চট্টগ্রাম)। ১০ জুলাই ২০১৪
১১ জুলাই শুক্রবার মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকী। ২০১১ সালের এ দিনটি মিরসরাইবাসীর কাছে ছিল অত্যান্ত বেদনাদায়ক। সারা জীবন এ দিনটিকে ভূলতে পারবে না মিরসরাইবাসী। কারণ ১১ জুলাই ঘটে যায় বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা মিরসরাই ট্র্যাজেডি। শুধু মিরসরাইয়ের আলোচিত ঘটনা নয়, এটি দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেরও একটি আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়।আলোচিত ঘটনা হবেই না বা কেন? একসাথে অকালেই ঝরে যায় ৪৫ টি তাজা গোলাপ। যারা এক সময় গন্ধ বিলাতো দেশ ছাড়িয়ে হয়তো বিশ্বেরও কোন প্রান্তে। ট্র্যাজেডি। যে শব্দটি শুনলে আঁতকে উঠে এই জনপদের মানুষসহ দেশও বিশ্ববাসী। শব্দটির সাথে যারা ওতোপোতভাবে জড়িত তারা শব্দটি শুনলে অবিরাম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এই জনপদের বিভীষিকাময়, বিষাদময় একটি অধ্যায়ের নাম মিরসরাই ট্র্যাজেডি। কিন্তু গন্ধ বিলানোর আগেই না ফেরার দেশে চলে যায়। পিতার কাঁধে ছিল পুত্রের লাশ, যা একজন পিতার জন্য সবচেয়ে ভারী বস্তু। ছিল মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর গগণবিদারী আর্তনাদ।২০১১ সালের এই দিন কেঁদেছে সবাই, কান্না ছাড়া থাকতে পারেনি কেউ। গ্রামের পর গ্রাম পরিণত হয়েছে কবরের নগরীতে। কেউ কাউকে সান্তনা দেয়ার লোকও ছিলনা সে সময়। একটা সময় স্বজনহারাদের সান্তনা দিতে ছুটে এসেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বজনহারা পরিবারগুলোর সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে দলমত, জাতি-গৌত্র নির্বিশেষে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকীতে নিহতদের স্বজনরা প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবতা খুঁজছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাচ্ছেন না। হতাশার সুর তাদের কণ্ঠে। বিশেষ করে শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের দাবী এবং ১১ জুলাইকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবী নিহতদের স্বজনদের। এছাড়া ট্র্যাজেডির প্রথম বার্ষিকীতে দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলেও তা আদৌ নির্মাণ না হওয়ায় নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তিন বছরেও দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’ দুর্ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তির মাসখানেক আগে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই শুরু হয় স্মৃতিফলক ‘আবেগ’ নির্মাণ। আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এ স্মৃতিফলক সত্যিই শোকের সাগরে আবেগের ঢেউ তোলে এখন। তড়িগড়ি করে হলেও বছর শেষে একটি স্মৃতিমাখা স্থাপনা পেয়েছে আবুতোরাবের মানুষ। কিন্তু তিন বছরেও হলো না ঘটনাস্থলে নির্মাণের প্রতিশ্রুত স্তম্ভ ‘অন্তিম’। প্রথম বর্ষপূর্তিতে দুর্ঘটনাস্থলে স্থাপিত ‘অন্তিম’ এর ভিত্তিপ্রস্তর এখন নিহতদের অভিভাবকদের কাছে শান্তনা। সে সময় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মিরসরাইয়ের সাংসদ এবং বর্তমান গৃহায়ণও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।সেদিন যা ঘটেছিল :দুপুরে মিরসরাই সদরের স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টের খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের পশ্চিম সৈদালী এলাকায় তেতুলতলা নামক স্থানে সড়কের পার্শ্বের ডোবায় শিক্ষার্থী বহনকারী মিনিট্রাক উল্টে পড়ে শিক্ষার্থীসহ ৪৫ জন মারা যায়। মুহুর্তেই পুরো এলাকা নয়, পুরো মিরসরাই নয়, সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘোষণা করা হয় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক।তৃতীয় বার্ষিকীতে কর্মসূচী: ট্রাজেডিতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১১ জুলাই দিনব্যাপী কর্মসূচী রয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল দশটায় কালো বেইজ ধারণ ও শোক পাতাকা উত্তোলন, তারপরে নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা, সাড়ে দশটায় শোক র্যালী, সকাল ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন, বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা। সর্বশেষ ইফতার ও যেয়াফত। আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। কোরআনখানী, মিলাদ মাহফিল, সনাতন ধর্মাবলম্বী নিহত ছাত্রদের স্মরণে প্রার্থনা, স্মৃতিফলক ‘আবেগ’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণও স্মরণ সভা।
- See more at: http://barta24.com.bd/details.php?id=42020#sthash.AxvJ3fL2.dpuf
মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকী শুক্রবার
নুরুল আলম, মিরসেরাই (চট্টগ্রাম)। ১০ জুলাই ২০১৪
১১ জুলাই শুক্রবার মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকী। ২০১১ সালের এ দিনটি মিরসরাইবাসীর কাছে ছিল অত্যান্ত বেদনাদায়ক। সারা জীবন এ দিনটিকে ভূলতে পারবে না মিরসরাইবাসী। কারণ ১১ জুলাই ঘটে যায় বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা মিরসরাই ট্র্যাজেডি। শুধু মিরসরাইয়ের আলোচিত ঘটনা নয়, এটি দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেরও একটি আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়।আলোচিত ঘটনা হবেই না বা কেন? একসাথে অকালেই ঝরে যায় ৪৫ টি তাজা গোলাপ। যারা এক সময় গন্ধ বিলাতো দেশ ছাড়িয়ে হয়তো বিশ্বেরও কোন প্রান্তে। ট্র্যাজেডি। যে শব্দটি শুনলে আঁতকে উঠে এই জনপদের মানুষসহ দেশও বিশ্ববাসী। শব্দটির সাথে যারা ওতোপোতভাবে জড়িত তারা শব্দটি শুনলে অবিরাম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এই জনপদের বিভীষিকাময়, বিষাদময় একটি অধ্যায়ের নাম মিরসরাই ট্র্যাজেডি। কিন্তু গন্ধ বিলানোর আগেই না ফেরার দেশে চলে যায়। পিতার কাঁধে ছিল পুত্রের লাশ, যা একজন পিতার জন্য সবচেয়ে ভারী বস্তু। ছিল মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর গগণবিদারী আর্তনাদ।২০১১ সালের এই দিন কেঁদেছে সবাই, কান্না ছাড়া থাকতে পারেনি কেউ। গ্রামের পর গ্রাম পরিণত হয়েছে কবরের নগরীতে। কেউ কাউকে সান্তনা দেয়ার লোকও ছিলনা সে সময়। একটা সময় স্বজনহারাদের সান্তনা দিতে ছুটে এসেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বজনহারা পরিবারগুলোর সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে দলমত, জাতি-গৌত্র নির্বিশেষে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকীতে নিহতদের স্বজনরা প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবতা খুঁজছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাচ্ছেন না। হতাশার সুর তাদের কণ্ঠে। বিশেষ করে শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের দাবী এবং ১১ জুলাইকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবী নিহতদের স্বজনদের। এছাড়া ট্র্যাজেডির প্রথম বার্ষিকীতে দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলেও তা আদৌ নির্মাণ না হওয়ায় নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তিন বছরেও দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’ দুর্ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তির মাসখানেক আগে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই শুরু হয় স্মৃতিফলক ‘আবেগ’ নির্মাণ। আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এ স্মৃতিফলক সত্যিই শোকের সাগরে আবেগের ঢেউ তোলে এখন। তড়িগড়ি করে হলেও বছর শেষে একটি স্মৃতিমাখা স্থাপনা পেয়েছে আবুতোরাবের মানুষ। কিন্তু তিন বছরেও হলো না ঘটনাস্থলে নির্মাণের প্রতিশ্রুত স্তম্ভ ‘অন্তিম’। প্রথম বর্ষপূর্তিতে দুর্ঘটনাস্থলে স্থাপিত ‘অন্তিম’ এর ভিত্তিপ্রস্তর এখন নিহতদের অভিভাবকদের কাছে শান্তনা। সে সময় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মিরসরাইয়ের সাংসদ এবং বর্তমান গৃহায়ণও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।সেদিন যা ঘটেছিল :দুপুরে মিরসরাই সদরের স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টের খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের পশ্চিম সৈদালী এলাকায় তেতুলতলা নামক স্থানে সড়কের পার্শ্বের ডোবায় শিক্ষার্থী বহনকারী মিনিট্রাক উল্টে পড়ে শিক্ষার্থীসহ ৪৫ জন মারা যায়। মুহুর্তেই পুরো এলাকা নয়, পুরো মিরসরাই নয়, সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘোষণা করা হয় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক।তৃতীয় বার্ষিকীতে কর্মসূচী: ট্রাজেডিতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১১ জুলাই দিনব্যাপী কর্মসূচী রয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল দশটায় কালো বেইজ ধারণ ও শোক পাতাকা উত্তোলন, তারপরে নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা, সাড়ে দশটায় শোক র্যালী, সকাল ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন, বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা। সর্বশেষ ইফতার ও যেয়াফত। আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। কোরআনখানী, মিলাদ মাহফিল, সনাতন ধর্মাবলম্বী নিহত ছাত্রদের স্মরণে প্রার্থনা, স্মৃতিফলক ‘আবেগ’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণও স্মরণ সভা।
- See more at: http://barta24.com.bd/details.php?id=42020#sthash.AxvJ3fL2.dpuf
১১ জুলাই শুক্রবার মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকী। ২০১১ সালের এ দিনটি মিরসরাইবাসীর কাছে ছিল অত্যান্ত বেদনাদায়ক। সারা জীবন এ দিনটিকে ভূলতে পারবে না মিরসরাইবাসী। কারণ ১১ জুলাই ঘটে যায় বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা মিরসরাই ট্র্যাজেডি। শুধু মিরসরাইয়ের আলোচিত ঘটনা নয়, এটি দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেরও একটি আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়।
আলোচিত ঘটনা হবেই না বা কেন? একসাথে অকালেই ঝরে যায় ৪৫ টি তাজা প্রাণ। ট্র্যাজেডি। যে শব্দটি শুনলে আঁতকে উঠে এই জনপদের মানুষসহ দেশও বিশ্ববাসী। শব্দটির সাথে যারা ওতোপোতভাবে জড়িত তারা শব্দটি শুনলে অবিরাম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এই জনপদের বিভীষিকাময়, বিষাদময় একটি অধ্যায়ের নাম মিরসরাই ট্র্যাজেডি। কিন্তু গন্ধ বিলানোর আগেই না ফেরার দেশে চলে যায়। পিতার কাঁধে ছিল পুত্রের লাশ, যা একজন পিতার জন্য সবচেয়ে ভারী বস্তু। ছিল মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর গগণবিদারী আর্তনাদ।
২০১১ সালের এই দিন কেঁদেছে সবাই, কান্না ছাড়া থাকতে পারেনি কেউ। গ্রামের পর গ্রাম পরিণত হয়েছে কবরের নগরীতে। কেউ কাউকে সান্তনা দেওয়ার লোকও ছিলনা সে সময়। একটা সময় স্বজনহারাদের সান্তনা দিতে ছুটে এসেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। স্বজনহারা পরিবারগুলোর সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে দলমত, জাতি-গোত্র নির্বিশেষে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
মিরসরাই ট্র্যাজেডির তৃতীয় বার্ষিকীতে নিহতদের স্বজনরা প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবতা খুঁজছে, কিন্তু প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাচ্ছেন না। হতাশার সুর তাদের কণ্ঠে। বিশেষ করে শতবর্ষী বিদ্যাপীঠ আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের দাবী এবং ১১ জুলাইকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবী নিহতদের স্বজনদের। এছাড়া ট্র্যাজেডির প্রথম বার্ষিকীতে দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলেও তা আদৌ নির্মাণ না হওয়ায় নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তিন বছরেও দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’ দুর্ঘটনার প্রথম বর্ষপূর্তির মাসখানেক আগে অনেকটা তাড়াহুড়া করেই শুরু হয় স্মৃতিফলক ‘আবেগ’ নির্মাণ। আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এ স্মৃতিফলক সত্যিই শোকের সাগরে আবেগের ঢেউ তোলে এখন। তড়িগড়ি করে হলেও বছর শেষে একটি স্মৃতিমাখা স্থাপনা পেয়েছে আবুতোরাবের মানুষ। কিন্তু তিন বছরেও হলো না ঘটনাস্থলে নির্মাণের প্রতিশ্রুত স্তম্ভ ‘অন্তিম’। প্রথম বর্ষপূর্তিতে দুর্ঘটনাস্থলে স্থাপিত ‘অন্তিম’ এর ভিত্তিপ্রস্তর এখন নিহতদের অভিভাবকদের কাছে শান্তনা। সে সময় ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মিরসরাইয়ের সাংসদ এবং বর্তমান গৃহায়ণও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
সেদিন যা ঘটেছিল :
দুপুরে মিরসরাই সদরের স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টের খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের পশ্চিম সৈদালী এলাকায় তেতুলতলা নামক স্থানে সড়কের পার্শ্বের ডোবায় শিক্ষার্থী বহনকারী মিনিট্রাক উল্টে পড়ে শিক্ষার্থীসহ ৪৫ জন মারা যায়। মুহুর্তেই পুরো এলাকা নয়, পুরো মিরসরাই নয়, সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘোষণা করা হয় তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক।
তৃতীয় বার্ষিকীতে কর্মসূচি:
ট্রাজেডিতে নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ১১ জুলাই দিনব্যাপী কর্মসূচি রয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল দশটায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক পাতাকা উত্তোলন, তারপরে নিহতদের স্মরণে বিশেষ দোয়া প্রার্থনা, সাড়ে দশটায় শোক র্যালী, সকাল ১১টায় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ ও ‘অন্তিম’ এ পুষ্পস্তবক অর্পন, বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা।
সর্বশেষ ইফতার ও খাবার বিতরণ। আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। কোরআনখানী, মিলাদ মাহফিল, সনাতন ধর্মাবলম্বী নিহত ছাত্রদের স্মরণে প্রার্থনা, স্মৃতিফলক ‘আবেগ’ এ পুষ্পস্তবক অর্পণও স্মরণ সভা।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।