বিষাক্ত ফলমূল চেনার উপায়
বাজারে মৌসুমী ফলের বোঁটা (কাণ্ড) দেখেই সনাক্ত করা যাবে ফলটি বিষাক্ত কিনা। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যেকোন ফলের বোঁটা (কাণ্ড) শুকনা হলেই বুঝতে হবে এটি বিষাক্ত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আঞ্চলিক আম গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, ‘আম অথবা অন্য যেকোন গ্রীষ্মকালীন ফলের বোঁটা যখনই দেখবেন শুকনা তখনই আপনি নিশ্চিত হবেন এটি কেমিক্যালযুক্ত বা বিষাক্ত।’
তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন ফলমূল রাতারাতি পাকানোর জন্য মেশানো হয় চরম ক্ষতিকর ক্যালসিয়াম কার্বাইড। ক্যালসিয়াম কার্বাইডে ফল শুধু দ্রুত পাকেই না, ফলের রংও হয় চমৎকার। এরপর তা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করার জন্য মেশানো হয় ফরমালিন। একশ’ গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে একশ’ কেজি আম পাকানো যায়।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন বলেন, ‘দেখা গেছে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ের বিভিন্ন পর্যায়ে তিন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে।’
কেমিক্যালযুক্ত এসব ফলমূল খেলে যেসব ভয়াবহ রোগ হতে পারে তা হলো ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার জটিলতা। এটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে শিশুদের। এমনকি এই বিষাক্ত ফল অনেক শিশুর মৃত্যুও ঘটায় বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেন।
রাজশাহী সাহেববাজারের একজন আম ব্যবসায়ী মতিউর রহমান। কেমিক্যালযুক্ত আম মানুষের কি ক্ষতি করে এ সম্পর্কে তার কোন ধারণা নেই।
আরেকজন আম ব্যবসায়ী বাসসকে বলেন, ‘আম দ্রুত পাকানো এবং রং চমৎকার ও আপকর্ষণীয় করার জন্য আমরা ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে থাকি।’
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।