আল্লাহই আমাকে রক্ষা করবেন : শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের কাছে আমার অনুরোধ 'সততাই শক্তি' এ আদর্শ নিয়ে চলতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত নয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, আমারও একই স্বপ্ন। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমি মহান আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে মাথানত করব না। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করেই চলব।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা, এ জন্য গর্ববোধ করি। এর চেয়ে আর কোনো পরিচয় আমার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষকেই আল্লাহ কিছু কাজ দিয়ে পাঠান। আমাকেও তিনি যে কাজটি দিয়েছেন, তা আমি পালন করে যেতে চাই। সে কাজ সম্পন্ন হওয়া না পর্যন্ত আল্লাহই আমাকে রক্ষা করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির জাতির জন্য, তাদের উন্নয়নের জন্য, তাদের ভাগ্য পরির্বতনের জন্য আমার বাবা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। আমিও বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। তাদের সুখে না হোক, দুঃখে পাশে থাকতে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, কিন্তু কখনো আওয়ামী লীগের মতো এত বড় একটি দলের দায়িত্ব নিতে হবে তা ভাবিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সব সময় একটা বিষয়েই জোর দিয়েছি, আমার জন্য দেশের ও দলের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। আমার কারণে যেন দলের নেতা-কর্মীদের হেয় হতে না হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তাঁর কাছ থেকেই শিখেছি দেশকে ও দেশের মানুষকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়। মা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বাবা যখন জেলে থাকতেন তখন মাকেই দেখেছি দল সামলাতে। তার কাছ থেকেও আমি রাজনীতির শিক্ষা পেয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আজ এ দলের জন্যই মানুষ দুই বেলা খেতে পারছে, শান্তিতে থাকতে পারছে। আওয়ামী লীগ না থাকলে মানুষ আজ এ অধিকার পেত না। তিনি বাংলাদেশের যে সীমিত সম্পদ রয়েছে, তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে নেতা-কর্মীদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়াও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।