দিনাজপুর হাবিপ্রবিতে প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। কিন্তু এর পর তিনি দীর্ঘদিন দেশে ফিরতে পারেন নি। মাতৃভূমি ছেড়ে লন্ডন ও ভারতে থাকতে হয় তাকে।
অবশেষে ১৯৮১ সালে আজকের এই দিনে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার শ্লোগান নিয়ে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আগমন উপলক্ষে সারা দেশ থেকে লাখ লাখ অধিকার বঞ্চিত মুক্তিকামী জনতা ঢাকায় ছুটে গিয়েছিল। জয় বাংলা ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়েছিল সেদিনে ঢাকার আকাশ বাতাস। মানুষ সেদিন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের শপথ নিয়েছিল।
লাখ লাখ জনতাকে উদ্দেশ্য করে সেদিন শেখ হাসিনা বলেছিলেন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নিদের্শিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে জাতির জনকের হত্যার বিচার গ্রহণে আমি প্রয়োজনে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে চাই।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিনাজপুর শাখা আয়োজিত র্যালী শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার সভাপতি ইফতেখারুল ইসলাম রিয়েল একথা বলেন।
ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অরুন কান্তি রায় সিটন এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার সহ-সভাপতি শিয়াবুল আউয়াল, যুগ্ম সম্পাদক আশাদুজ্জামান জেমি, প্রত্যুষ কুমার, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান হাবিব, ছাত্রলীগ প্রীতিলতা হল শাখার সভাপতি মিশরাত মাসুফা পারভেজ প্রমুখ।
আলোচনা সভার পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ডিবক্স প্রাঙ্গন থেকে র্যালী বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।