লঞ্চডুবিতে লাশের সংখ্যা বেড়ে ৩১
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুরে মেঘনা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় লাশের সংখ্যা বেড়ে ৩১-এ দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে লঞ্চটি উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হলেও গতকাল শুক্রবার দুইবার শেকল ছিঁড়ে পড়ে যায়। তৃতীয় দফার চেষ্টায় পানির নিচে উল্টে থাকা লঞ্চের তলদেশের অংশবিশেষ দৃশ্যমান করতে পেরেছে উদ্ধারকারী দল। নতুন উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’-এর মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতার এসব দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অপরদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার এ এস এম সিরাজুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল হাসান ও একই অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শফিকুর রহমান। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ পর্যন্ত উদ্ধার করা লাশগুলোর মধ্যে ২৮টি শনাক্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। তবে বাকি নিখোঁজ যাত্রী বা লাশের অপেক্ষায় একদিকে ঘটনাস্থলে, অন্যদিকে ওই লঞ্চের গন্তব্যস্থল শরীয়তপুরে ভীড় জমিয়েছেন স্বজনরা। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার।
লাশের পরিচয় : গত রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া ৩১ লাশের মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার এলাহী বক্সের ছেলে জামাল সিকদার (৫০), রাহাপাড়া গ্রামের ফজলুল হক আখন্দের স্ত্রী সেতারা বেগম (৫৫), পাঁচগাঁও গ্রামের লিটন কাজীর স্ত্রী টুম্পা বেগম (২৬), মেয়ে সুমনা (৮), মৃত নুরুল ইসলাম খানের ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫), শাহিনূরের স্ত্রী আকলিমা আক্তার রিয়া (২৫), পণ্ডিতসার গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে মাহি (৪), নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরিফের জালাল সিকদারের ছেলে আবির (দেড় বছর), সুরেশ্বরের আরব আলীর ছেলে জলিল মালত (৫০), পণ্ডিতসার গ্রামের আব্বাস হোসেনের ছেলে মানিক (১৪), চাকধ গ্রামের মাসুমের ছেলে আব্দুল্লাহ আল রেদোয়ান (৪০), দিনারা গ্রামের ইদ্রিস শেখের স্ত্রী রাশিদা বেগম (৬০), নন্দনসার গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে খোরশেদ আলী খন্দকার (৭৫), মঙ্গলসার গ্রামের মৃত জলিল আহমেদ মোল্লার ছেলে ওসমান গনি মোল্লা (৪০), কুলকাঠি গ্রামের রহিম ফকিরের ছেলে ইসমাইল ফকির (৬৫), ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামের মৃত শ্রীদম দাসের ছেলে কৃষ্ণ কমল দাস (৫০), পাকিপাড়ার দুলাল বেপারীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৫৫), শরীয়তপুরের সখীপুর উপজেলার দুরারচর গ্রামের সাজু দেওয়ানের স্ত্রী লাইলী বেগম (৫০), উপালী গ্রামের রিপন মৃধার মেয়ে রিতু আক্তার (১২), কলকাঠি গ্রামের আব্দুল মান্নান দেওয়ান (৫০) ও অন্যান্য।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।