ছাতকে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে
সুনামগঞ্জের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ফলাফলে জেলার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী মন্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে।
বিদ্যালয়ের উভয়পাশে কোন স্পিড ব্রেকার না থাকায় প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে না পড়ায় অভিভাবকরা থাকছেন আতংকের মধ্যে। পৌর শহরের মন্ডলীভোগ এলাকায় সড়ক ও জনপদের প্রধান সড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এ দু’শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এমনিতেই সড়ক দূর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে।
পাশাপাশি চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ত্রি-মুখি পয়েন্টে অবস্থান হওয়ায় ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়াটা অনেকটা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক ও জনপদ বিভাগের এ সড়কটি দু’দফায় মন্ডলীভোগ পয়েন্ট পর্যন্ত পুনঃ নির্মাণ করা হয়। প্রায় দু’ফুট উচ্চতায় নির্মিত এ সড়কটির সর্বশেষ নির্মাণ কাজ শেষ হয় গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে।
চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মন্ডলীভোগ পয়েন্ট থেকে হাসপাতাল রোডের মুখ পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারহীন অবস্থায় রয়েছে। প্রায় দু’শ’ মিটার দীর্ঘ এ সড়কটি খানা-খন্দে ভরপুর। জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়া স্বত্ত্বেও সড়কের এ অংশটুকু সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে এসে খাড়া ঢালু অবস্থায় রেখে সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১হাজার ২শ’ ৬৫জন ছাত্রী ও পাশাপাশি মন্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭শ’ ৮০জন শিক্ষার্থী প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে।
সড়ক সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভাঙ্গা রাস্তায় দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে দিবা-রাত্রি পাথর, সিমেন্ট, গাছ ও মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী ফোরষ্ট্রোক, প্রাইভেট লাইটেস, কার ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বেপরোয়া চলাফেরা করছে।
প্রধান সড়ক সংলগ্ন এলাকায় মসজিদ-মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার পাশে স্পিড ব্রেকার থাকার বিধান থাকলেও এ দু’শ মিটার সড়কের মধ্যে ১টি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি ব্যাংক, কাস্টম ভ্যাট-সার্কেল অফিস, ১টি মসজিদ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের কার্যালয় থাকা স্বত্ত্বেও এখানে কোন স্পিড ব্রেকার নেই। অথচ ছাতকের আন্ধারীগাঁও পয়েন্ট থেকে সুনামগঞ্জের মোহাম্মদপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০কিলোমিটার সড়কে ২০টি স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে।
ব্যস্ততম সড়কের পাশে চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মন্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান হওয়ায় কোন স্পিড ব্রেকার না থাকার বিষয়টি অভিভাবকদের বিস্মিত করেছে।
এ দু’শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দু’সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কের উভয়পাশে দু’টি স্পিড ব্রেকার স্থাপন ও যানবাহন নিম্নগতিতে চলাচলের নির্দেশ সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
এ ব্যাপারে চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফায়জুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় স্পিড ব্রেকার থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে দুটি বিদ্যালয় পাশাপাশি থাকা স্বত্ত্বেও কোন স্পিড ব্রেকার নেই। জরুরী ভিত্তিতে এখানে স্পিড ব্রেকার স্থাপনের দাবী জানান তিনি।
মন্ডলীভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলালুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি সড়ক সংলগ্ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি সংঙ্কিত থাকেন। স্পিড ব্রেকার স্থাপিত ও যানবাহনের গতি নির্ধারিত হলে দূর্ঘটনার আশংকা কমে যাবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।