দৈন্যদশায় ঝালকাঠির প্রাথমিক শিক্ষা !
ঝালকাঠি জেলায় ৫৭২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ২০৩ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া মাতৃত্বকালীন অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘমেয়াদী ছুটিতে রয়েছেন আরো অর্ধশতাধিক শিক্ষক। ফলে বিদ্যালয়গুলোর স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও ভেঙ্গে পড়েছে। সহকারি শিক্ষকরা ইচ্ছেমতো বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করলেও কোন রকম জবাবদিহিতা নেই তাদের।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলায় প্রধান শিক্ষকের অনুমোদিত ৫৭২ টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৪৯৭ জন এবং পদ শুন্য রয়েছে ৭৫ টি। অন্যদিকে সহকারি শিক্ষকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা এক হাজার ৯শত ২২ টি এর মধ্যে কর্মরত আছেন এক হাজার ৮শত ৭৭ জন, পদ শুন্য রয়েছে ৪৫ টি ।
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় পদ শুন্য আছে ১২টি, নলছিটি উপজেলায় ১৩টি, কাঠালিয়া উপজেলায় ১২টি এবং রাজাপুর উপজেলায় ০৭ টি। জেলার রাজাপুর উপজেলায় সাময়িক বরখাস্ত রয়েছে ১ জন। পূর্বে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৬৪ এবং রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নতুন জাতীয়করণের সংখ্যা ২০৩ টি। এছাড়াও প্রকল্প থেকে জেলার ৪ টি উপজেলায় ৫ টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নতুন জাতীয়করণের সংখ্যা ২০৩ টি বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটিতে ৫টি করে পদ থাকলে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক। দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরি পদে জেলার ১০৭ টি বিদ্যালয়ের নিয়োগ চুড়ান্ত করা হয়েছে এবং ১৩৫ টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শহর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে মহিলা শিক্ষকদের একছত্র আধিপত্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছে। শুধুমাত্র শহরের জেবিআই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ জন পুরুষ শিক্ষক রয়েছেন। মহিলা শিক্ষকদের পক্ষে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখা দুরুহ জেনেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা অর্থের বিনিময় পুরুষ শিক্ষকদের গ্রামে বদলি করে গ্রমাঞ্চলে চাকুরিরত মহিলাদের শহরে নিয়ে আসছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র হালদার প্রধানশিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, পদোন্নতির মাধ্যমে সহকারি শিক্ষক থেকে ৬৫ শতাংশ পদ পূরণ করা হয়। বাকী ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ নেওয়া হয় এবং পদোন্নতির বিষয়টি আদালতে মামলা থাকার কারণে অধিদপ্তরও কিছু করতে পারছে না যতক্ষণ মামলা শেষ না হয়। ৩টি অর্থবছরে রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় সরাসরি জাতীয়করণ হবে। তাতে সামনে আরো ১ বছর লাগবে। রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ হলে তখন বদলী সিস্টেমে এ পদ পূরণ হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।