বিরল স্থলবন্দরটি আজও আশার মুখ দেখলো না
স্বাধীনতার পর দেশের অনান্য স্থলবন্দর গুলো পূর্ণতা লাভ করলেও দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার স্থল বন্দরটি এখনো আশার মুখ দেখতে পারেনি। এক সময় যশোরের বেনাপোল, বুড়িমারি স্থলবন্দরের মতোই সুনামের সাথে শুল্ক বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। সে সময় সরকার উক্ত স্থলবন্দর থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে।
উপজেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে ৬ নং ভান্ডারা ইউনিয়নে কিশোরগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ির পাশে চক শংকর মৌজার ২৫ একর জমি অধিগ্রহণ নিয়ে এই স্থলবন্দরটি স্থাপন করা হয়। গত ৫ বছর পূর্বে এই স্থলবন্দরটির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হলেও বিভিন্ন জটিলতার কারনে আজও শুরু হয়নি এর কার্যক্রম।
ইতিমধ্যে ভারত সরকার পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালুর প্রস্তাব গ্রহন করে রাধিকাপুর থেকে মিটার গ্রেজ থেকে ব্রোডগ্রেজ লাইন ইতিমধ্যে গত ৭ বছর পুর্বে সংস্কার করেছে। স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ সাধারণ মানুষ উক্ত স্থলবন্দরটি চালু করার দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
এদিকে স্থলবন্দর চালুর আশায় ২০০৫ সাল থেকে ভারতের রাধিকাপুর থেকে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুল্ক বাণিজ্য বন্ধ থাকায় সরকার গত ৭ বছরে প্রায় ৪০ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা ধারনা করছে, বিরল স্থলবন্দরটি চালু করা হলে স্থানীয় এলাকায় দরিদ্রের হার কমে আসবে। বৃহত্তর দিনাজপুরের মানুষের খূব সহজেই ভারত গমন করতে পারবে। আর যে কারনেই জেলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে।
বিরল স্থলবন্দর চালু করার আশায় ভারত সরকার রেল যোগাযোগ প্রস্তুত করে রেখেছে বাংলাদেশ প্রস্তুত না থাকায় তারা খুবই নাখোশ।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় সংসদ সদস্য খালেদ মাহমুদ চৌধুরী পার্বতীপুর থেকে বিরল পর্যন্ত ট্রেনের ব্রোডগ্রেজ লাইনের জন্য প্রকল্প অনুমোদন করে নিয়ে আসে। এরপর গত বছরের প্রথম দিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী ও দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বিরল স্থলবন্দরটি পরিদর্শনে আসে।
বিরল উপজেলার তথা দিনাজপুর জেলা বাসীর প্রাণের দাবি বিরল স্থল বন্দরটি চালু না হওয়ায় সরকার যেমনটি হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব। ঠিক তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমদানি-রফতানি বাণিজের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। তবে বর্তমান সরকারের আমলেই বিরল স্থলবন্দরটি চালু হবে এটাই প্রত্যাশা করছে দিনাজপুর জেলাবাসী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।