রানীশংকৈলে শরবতের নামে কি খাচ্ছে
কালবৈশাখীর মাস বৈশাখ শেষ হয়ে জৈষ্ঠ্যের তাপদাহে সারাদেশে অব্যাহত রয়েছে কাঠফাটা রোদ। সবুজ বাংলার খেটে খাওয়া মানুষ জীবিকা নির্বাহের কাজে ছোটাছুটি করছে সারা দিনভর। প্রচণ্ড রোদের তাপদাহে গলা ভেজাতে পান করা হচ্ছে নানা পানিয়। কতটুকু নিরাপদ এসব পানিয় খতিয়ে দেখার কথা ভাবেনি কোনদিন।
সময় বাঁচাতে অনেকেই রাস্তার পার্শ্বে বিক্রী হচ্ছে নানা রকমের পানিয়, আঁখের রস। জীবাণুযুক্ত পানি এটি। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ, অপরিষ্কার পানিতে গ্লাস ধোয়া, এক গ্লাসে অনেকজন মুখ লাগিয়ে পান করার ফলে জীবাণু বেড়ে ওঠার নিরাপদ স্থান এগুলো। নানা রকম অসুখ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। সাময়িক তৃপ্তি মিললেও পরবর্তীতে ভুগতে হচ্ছে জন্ডিস, ডায়রিয়া, আমাশয়, ক্রনিক জনিত রোগে এমনকি ছোঁয়াচে চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
আঁখের রসের মতো লেবুর শরবত খরতাপে বুকফাটা তৃষ্ণা মেটাতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। রাস্তার পাশে বিক্রী হওয়া লেবুর রসের বিশুদ্ধতা নিয়ে কতটুকু চিন্তা করেছি। অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে এসব শরবত পরিবেশন করার ফলে জন্ডিস বা দীর্ঘমেয়াদী ক্রনিক আমাশয়ে আক্রান্ত হয়ে মানুষ বিপদ মুখি হয়ে যায়।
এসবের পাশাপাশি কাঁচা আম, বেল, তরমুজসহ বিভিন্ন ফলের রস মুখ রোচক পানিয় হিসেবে জায়গা দখল করলেও পুষ্টির বদলে শরীরে প্রবেশ করছে নানা ব্যাধি।
কোল্ড ড্রিংকস আজকাল বৃদ্ধ থেকে শুরু করে কোলের শিশুটির কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। কোক, নানা রকমের সেক্সুয়াল ড্রিংকস, পেপসি জাতীয় নানা কার্বন ডাই অক্সাইড কোমল পানীয়কে তৃষ্ণা মেটাবার প্রথম পছন্দ’র স্থান দখল করে রেখেছে। যা ভয়াবহ ক্ষতিকর। সাময়িক তৃষ্ণা মেটালেও এসব পানিয় শরীরে পানিশূন্যতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। শরীর নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র কিডনী অকেজো করে জীবনের আলোর বাতাস নিভিয়ে দেয়।
ফলের শরবত জুস ইত্যাদি আকর্ষণীয় করতে নানা কেমিক্যাল মিশ্রিত করা হয়। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো পেটের নানা পীড়াসহ স্বাস্থ্যহানি ঘটায়।
কোন পানীয় পানের আগে এসবের গুনগত মান, বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এসব পরিহার করে সার্বক্ষণিক হাতের নাগালে পানির বোতল রেখে পানি পানের চাহিদা পুরণ করে সুন্দর, সুস্থ থাকার অভ্যাস গড়ে তুলি ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।