দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নারী শিশু সহ ৫ জন নিহত হয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য নিয়ে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট।

ফেনীতে বজ্রপাতে নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের কাজিরবাগ গ্রামের আবদুল কালামের ছেলে মো. আতিক (১৮)। তবে, নিহত নারীর(৪০) পরিচয় পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে, একই সময়ে জেলার সোনাগাজী উপজেলার কুটিরহাটে আহত ৪০ বছরের নারীকে ফেনীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে (রয়েল হাসপাতাল) নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রয়েল হাসপাতালের পরিচালক মাহাতাব হোসেন বজ্রপাতে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভোলার দৌলতখানে বর্জপাতে মনির (১৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মনির ওই ইউনিয়নের পশ্চিম জয়নগর গ্রামের মো. ইয়াছিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, কৃষক মনির মাঠে কাজ করছিলেন। বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এসময় বর্জপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

ঝালকাঠি সদর ও কাঠালিয়া উপজেলায় বজ্রাঘাতে দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদরের গাবারামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন ও কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- গাবারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিগনা গ্রামের আশরাফ আলী (৫৫) ও কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ছিটকি গ্রামের জয়নাব হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫)।

স্থায়ীয়রা জানায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার গাবারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বালিগনা গ্রামের আশরাফ আলী মাঠে মাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

প্রায় একই সময়ে কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ছিটকি গ্রামের সাইফুল ইসলাম বজ্রাঘাতে মারা যান।

ঝালকাঠি সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম তালুকদার ও আওড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিটন দুর্ঘটনাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।