শিশুর কান্না থামাতে মুখে টেপ লাগালেন সেবিকা!
পৃথিবীতে এসে সকল শিশুই কম বেশি কাঁদে। আর এই কান্না সহ্য করতে না পেরে শিশুর মুখে টেপ লাগিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের সেবিকা।
সদ্যজাত শিশুর মুখে টেপ দেওয়ার এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার দ্য কেবু পিউরিকালচার সেন্টার অ্যান্ড ম্যাটার্নিটি হাউস’র এক সেবিকা।
শিশুটির মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ থাকার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে ভার্চুয়াল জগতে। আর এতে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে, ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ও মনোবিদরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ‘শিশুটি অনেক বেশি চেঁচামেচি করে’ বলে তার মুখে টেপ লাগিয়ে দেন অভিযুক্ত নার্স।
ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া ছবিটিতে দেখা যায়, সদ্যজাত শিশুটির চোখ বন্ধ এবং তার মুখে টেপ লাগানো।
কেবু পিউরিকালচার সেন্টার জানিয়েছে, পাঁচ বছর বয়সী শিশু সন্তানের মুখে টেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে মর্মে রায়ান নোভাল ও জেসমিন বাদোকদোক’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনার তদন্ত করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর দায়ের করা অভিযোগে নোভাল বলেন, সদ্যজাত শিশুটি অনেক বেশি চেঁচায় দাবি করে ওই সেবিকা তার মুখে টেপ লাগিয়ে দেন।
শিশুটির মুখে টেপ লাগানো অবস্থার একটি ছবি পোস্ট করে নোভাল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘এটা আমার শিশু যোহানেস নোভাল, সে তার ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারছে না, তাই আমাদেরই এ নিয়ে কিছু বলা উচিত।’
মেলানি মনোরায় নামে এক নারী তার টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘সদ্যজাত শিশুটির সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে সেজন্য ওই সেবিকার কারাভোগ করা উচিত।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।