চলতি অর্থ বছরের গত দশ মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বেধে দেওয়া ১৮৬ কোটি ১০ লাখ টাকা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ১৮৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বিপরীতে ১৫১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা আদায় করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৪ কোটি টাকা কম।

কিন্তু কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে গত ২০১৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে ঘন ঘন বন্দর বন্ধ রাখার কারনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে আমদানি কারক ব্যবসায়ীরা বলছেন বন্দর এলাকার নানা অসুবিধার কথা।

আগামী মাসে হতে যাচ্ছে ২০১৪-১৫ সালের জাতীয় বাজেট ঘোষণা। আর এরই মধ্যে দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থল বন্দরের চলতি অর্থ বছরের গত দশ মাসেও নির্ধারিত রাজস্ব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

এব্যাপারে দিনাজপুর হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার শাকিল আহমেদ জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর বেধে দেওয়া ১৮৬ কোটি ১০ লাখ টাকার মধ্যে ১৫১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত ২০১৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে ঘনঘন বন্দর বন্ধ রাখতে হয়েছে তাই নির্ধারিত লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।

তবে তিনি আশার বাণি শুনিয়ে বলেন, বর্তমানে যে ভাবে রাজস্ব আদায় হচ্ছে এভাবেই যদি চলতে থাকে তাহলে নতুন বাজেট ঘোষণার আগেই লক্ষমাত্রা পূরণের সম্ভবনা রয়েছে।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমাদানিকৃত মালামাল আনলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হয়রানি শিকার হতে হয়। তাই অনেক ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে পন্য আমদানি করতে চায়না।

আমদানি কারক ইফরিত ইসলাম লিথু বলেন, পানামা ওয়্যার হাউজের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত পরিমানে জায়গা না থাকায় রাস্তার উপরে পন্য বোঝাই ট্রাক দাড়িয়ে থাকে। আর যে কারনেই রোদ-বৃষ্টিতে মালামালের ক্ষতি হয়।

ব্যবসায়ী শামসুল আলম জানান, হিলি স্থল বন্দরের প্রধান সড়টি প্রয়োজনের তুলনায় চাওড়া না হওয়ায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। তাই ভারত থেকে পন্য নিয়ে ট্রাক আমাদের দেশে প্রবেশ করতে অসুবিধা হয়।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, স্থল বন্দরের রাস্তা প্রয়োজন আনুযায়ী বাড়ানো ও ওয়্যার হাউজের অভ্যন্তরে জায়গা বৃদ্ধি করা হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।