লালমনিরহাট সদর উপজেলার এক হিন্দু গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে জেলা পুলিশ সুপারসহ দুই জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন|

আগামী ৩ জুন এসপিসহ সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকেও(ওসি) হাইকোর্টে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আবু ওবায়দুর রহমান ও অবন্তী নুরুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত রায়।

আদালত সূত্রে জানাযায় দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের ধারাইরখাতা গ্রামে কয়েকজন স্থানীয় যুবকের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন ওই গ্রামের এক হির্দু গৃহবধূ।

ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্রের পক্ষে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গৃহবধূকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়ে শ্লীলতাহানির ঘটনা তদন্ত করে ৬ এপ্রিলের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন।

আবু ওবায়দুর রহমান জানান, আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে দুই ধরনের কথা উল্লেখ আছে। তাই এসব বিষয়ে জানতে লালমনিরহাটের এসপি ও সদর থানার তৎকালীন ওসিকে তলব করা হয়েছে।

আইন ও সালিস কেন্দ্রের করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন (৫ জানুয়ারি) সকালে ওই এলাকার জনৈক এক হিন্দু (সংখ্যালঘু) গৃহবধূ ভোট কেন্দ্রে যান।  বাড়ি ফেরার পথে একইগ্রামের শামছুল গৃহবধূকে হুমকি দেয় এবং ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে স্থানীয় রত্নাই নদীর পাড়ে শ্লীলতাহানি ঘটান।

এ সময় তারা গৃহবধূর ১৪ বছর বয়সী কিশোরি মেয়ের শ্লীলতাহানিরও হুমকি দেয় শামছুল ও তার সহযোগিরা। পরে গৃহবধূ  এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

কিন্তু সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগ আমলে না নিয়ে আপস মীমাংসার কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। এ বিষয়ে ৩১ জানুয়ারি একটি ইংরেজী দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদের প্রেক্ষিতে আইন ও শালিস কেন্দ্রের তদন্ত দল ওই ঘটনা তদন্ত করেন। এরপর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।