মাত্র ১৯ বছরের এক তরুণীকে সাত থেকে আটজন মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই তরুণী। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম।

তরুণীর বরাত দিয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ১৫ দিন আগে ১৯ বছরের ঐ তরুণীর সাথে নাঈম (২৭) নামে এক তরুণের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কয়েকদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গ্লাস টাওয়ারের সামনে তারা দেখা-সাক্ষাৎ করেন।  এরপর সোমবার সন্ধ্যায় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণীকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ডেকে আনেন নাঈম। রাত ১০টার দিকে নাঈমের বন্ধু শাহীন, ইমরান, হাবিবসহ আরও ছয় সাতজন যুবক নাঈমের সঙ্গে যোগ দেয়। নাঈম তাদের বন্ধু ও বিয়ের স্বাক্ষী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঐ তরুণীকে জাতীয় তিন নেতার মাজারের পেছনে আনসার ক্যাম্পের পাশে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে গণধর্ষণ করা হয়। এরপর টহলরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার সকালে ধর্ষিতা তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু আইনে নাঈমকে প্রধান আসামি করে শাহীন, রুবেল, ইমরান, হাবিবসহ ছয়-সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটিকে আমরা মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আইন অনুযায়ী অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’