দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় সুবাস চন্দ্র (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী ও সন্তানরা।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।নিহত সুবাস পার্বতীপুর উপজেলার হাবড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে। তিনি মুড়ি বিক্রেতা ছিলেন।

এদিকে, বুধবার সকাল ৭টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা বালাসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, আট বছর আগে সুবাস চন্দ্র রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত গনপতির বিধবা স্ত্রী জোসনা বালাকে বিয়ে করেন। সুবাস চন্দ্রের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও চার মেয়ে এবং জোসনা বালার প্রথম পক্ষের তিন ছেলে থাকায় বিয়ের কিছুদিনের মধ্যে তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়।

দাম্পত্যকলহ চরম আকার ধারণ করলে তিন বছর আগে জোসনা বালা আগের স্বামীর সন্তানদের নিয়ে আলাদা বসবাস শুরু করেন। কিন্তু পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় প্রায়ই সুবাসের সঙ্গে জোসনা বালার ঝগড়া লেগে থাকতো।

এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সুবাস চন্দ্র পার্শ্ববর্তী চৌরাস্তা বাজার থেকে মুড়ি বিক্রি করে বাড়িতে এসে জোসনাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এসময় জোসনা বালা, তার প্রথমপক্ষের ছেলে নিতেষ ও প্রদিপ এসে সুবাসকে বেদম মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সুবাসের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা জোসনা বালা, তার ছেলে প্রদিপ চন্দ্র, পুত্রবধূ সন্ধ্যা রানী, দেবর (আগের স্বামীর ভাই) নিবেশ চন্দ্র ও নিবেশ চন্দ্রের স্ত্রী প্রতিমা রানীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

খবর পেয়ে বুধবার সকাল ৭টার দিকে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ও আটক ব্যক্তিদের থানায় নিয়ে যায়।

পার্বতীপুর মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসাদ্দেক হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।