ছাতক-আন্ধারীগাঁও সড়কের বেহাল দশা
ছাতক-জাউয়াবাজার, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সড়কের লাফার্জ ফেরীঘাট থেকে আন্ধারীগাঁও পর্যন্ত ৫কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। এ রাস্তার বেহাল দশার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সাধারণ লোকজন চলাচল করছে। দীর্ঘ ৭বছরেও সড়কটির কোন সংস্কার কাজ হয়নি। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ছাতক-জাউয়ার ও ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সড়কের এ অংশে বিশাল-বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে পাকা সড়কের অস্থিত্ব ছিল বলে মনে হয়না। পৌর শহর থেকে জাউয়াবাজার, দোয়ারাবাজার ও সুনামগঞ্জ পর্যন্ত ৩টি সড়ক রয়েছে। সব ক’টি সড়ক দিয়ে ছাতক পৌছাতে খানা খন্দকে ভরপুর আন্ধারীগাঁও থেকে ছাতক পর্যন্ত এ অংশটি ব্যবহার করতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণের।
লাফার্জ ফেরীঘাট থেকে আন্ধারীগাঁও পর্যন্ত ৫কিলোমিটার রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক থাকায় স্থানীয় লোকজন সংস্কারের জন্য বার-বার আবেদন-নিবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদিকে কোন নজর দিচ্ছেনা। সামান্য বৃষ্টি হলে গর্তে-গর্তে পানি জমে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি।
সড়ক দিয়ে দোয়ারাবাজার, জাউয়া, সুনামগঞ্জসহ ছাতক সদর, চরমহল্লা, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের যাত্রী সাধারণ প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও নানা দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। সন্ধ্যার পর সড়ক দিয়ে রিকশাসহ যানবাহন চলাচল করেনি।
গণক্ষাই গ্রামের ব্যবসায়ি হাফিজ নুরে আলম ও সুফিয়ান আহমদ বলেন, ৭বছর ধরে সড়কের এ অংশে কোন সংস্কার কাজ হয়নি। রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে বাজার থেকে বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যার পর কোন যানবাহন পাওয়া যায় না। রাতে যানবাহন পাওয়া গেলেও অধিকহারে ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
ছাতক সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আজর আলী বলেন, সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের কারনে প্রায় সময়ই দূর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া রাস্তা ভেঙ্গে রড বেরিয়ে পড়ার কারণে রডের সাথে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন।
সম্প্রতি সড়কের বের হওয়া রডগুলোও কেটে-কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। সরকার সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতার কারণেই সড়কটির বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে। সড়কের এ অবস্থার কারণে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সিএনজি চালক জিয়াউর রহমান জানান, ভাঙ্গাচুরা এ সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অনেক গাড়ী অন্যত্র চলে গেছে।
সাবেক ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী সমরেন্দ্র দাস তালুকদার বলেছিলেন বিগত জুলাই মাসে সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। বিদেশী সংস্থা (আরটিআইপি-২) প্রকল্পের মাধ্যমে ২ কোটি ২০ লাখ টাকার বরাদ্ধ সাপেক্ষে সংস্কার কাজের দরপত্র আহবান করা হবে শীঘ্রই। এর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও সড়কটি সংস্কারের কোন পদক্ষেপ এখনো নেয়া হয়নি। চলতি বর্ষা মৌসুমে সড়কটি আরো ঝুঁকিপূর্ণের হয়ে যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
সড়ক সংস্কারের দাবীতে গত বৃহস্পতিবার আন্ধারীগাঁও থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত বিএনপি পদযাত্রা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মহি উদ্দিন এ সড়ক সংস্কারের জন্য দ্রুত দরপত্র আহবান করা হবে বলে জানান।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।