- হোম
- >
- চিত্র-বিচিত্র
- >
- ঝগড়াটে স্বভাব দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে
ঝগড়াটে স্বভাব দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে
ঘরে কিংবা বাইরে, প্রেয়সী-পরিবার-বন্ধু-স্বজন অথবা সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়া করলে কেবল সম্পর্কের অবনতি এবং ব্যক্তিত্বই ক্ষুণ্ন হয় না, নিয়মিত ঝগড়া করলে মধ্য বয়সেই মরতে হবে!
ডেনিস গবেষকেরা দাবি করছেন, যাঁরা সব সময় আত্মীয়স্বজন, বন্ধু বা প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়া করেন, তাঁদের মাঝ বয়সে মারা যাওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ। আর পুরুষদের মধ্যে যাঁরা বেকার, তাঁরা বিশেষভাবে এই ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাজ্যের ‘জার্নাল অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিটি হেলথে’ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নিয়মিত ঝগড়ার কারণে দ্রুত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে এমন তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছেন মধ্যবয়স্ক পুরুষ ও বেকাররা।
গবেষণায় দেখা যায়, ক্রমাগত দুঃশ্চিন্তা বৃদ্ধি ও সাধ্যাতীত আবদার অন্য যেকোনো কারণের চেয়ে বেশি ৫০-১০০ শতাংশ পর্যন্ত মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, উদ্বেগজনক লেনদেনও দ্রুত মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা ও বাড়তি চাপ বেশি প্রভাব ফেলে। তবে গবেষণায় জানানো হয়েছে, বেকাররা কোনো ধরনের সংঘাত-বিবাদে মধ্যস্থতায় সময় কাটালে এবং সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকলে তাদের এ ধরনের ঝুঁকি কমতে পারে।
গবেষণায় দাবি করা হয়, নিয়মিত ঝগড়া পুরুষ বা নারীর স্বাভাবিক মৃত্যুর চেয়ে দ্রুত মৃত্যুর হার দু’তিন গুণ বাড়িয়ে দেয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে পুরোপুরি কারণ ব্যাখ্যা করা না হলেও দাবি করা হয়, মাত্রাতিরিক্ত বিরক্তি, প্রেয়সী ও শিশুর সাধ্যাতীত আবদার এবং পরিবারসহ বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়ায় লেগে থাকলে হৃদরোগ এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। আর এটা মধ্যবয়সেই!
গবেষকরা দাবি করেন, ঝগড়ার ফলে মনস্তাত্ত্বিক ধাক্কায় মানুষের শরীরে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপের মতো এ ধরনের প্রতিক্রিয়া হৃদরোগের ঝুঁকিতে ফেলে দেয় মানুষকে। যেটার পরিণতি দ্রুত মৃত্যু।
ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেনের পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক ড. রিকে লান্দ বলে, দুঃশ্চিন্তা ও ঝগড়া মানুষের জীবনেরই অংশ। তবে যারা সবসময়ই সংঘাত বা ঝগড়ায় লিপ্ত থাকে তাদেরই এ ধরনের ঝুঁকি বেশি থাকে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টমিনিস্টারের সাইকোলজি অ্যান্ড পিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক অ্যাঞ্জেলা ক্লো বলেন, গবেষণার এ ফল বিস্ময়কর কিছু নয়। মানুষের স্নায়ুচাপ বাড়লে তার মৃত্যু ঝুঁকি বাড়বেই।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ কার্যক্রমে এবং বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় প্রাণবন্ত সময় কাটালে স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
গবেষকরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হলেও সবুজ পৃথিবীতেই শ্বাস ফেলার সময় দীর্ঘ করার দায় থেকে ঝগড়া এড়িয়ে চলতে হবে।
সাহস২৪.কম/এফএ.
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।