মালিকানাধীন ২০ শতক জমি বিদ্যালয়ের নামে মাঠ রেকর্ড ও ডিপি খতিয়ান প্রস্তুত এবং বেদখল করার অপচেষ্টার অভিযোগ এনে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার মন্দুয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতলুবর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মশিউর রহমানকে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সাদুল্যাপুর উপজেলার মন্দুয়ার গ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ আব্দুল মোত্তালেব, সৈয়দ রায়হানুল হক ও সৈয়দ মতিয়ার রহমানের পক্ষে গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টের আইনজীবি মোঃ জহুরুল ইসলাম তোতা মিয়া রোববার ডাকযোগে এ উকিল নোটিশ পাঠান।

আইনজীবি মোঃ জহুরুল ইসলাম তোতা মিয়া জানান, মন্দুয়ার মৌজার জেএল নং ২৭, খতিয়ান নং ৮৮২ ও ৯৭৮ দাগ নং ১৪৪২, ১৪৪৩, ১৪৪৪ ভিটা জমির ২০ শতক কোন স্বত্বস্বার্থ ও কাগজপত্র না থাকা সত্বেও বিগত জরিপ আমলে অন্যায় লাভের দুরাশায় বিদ্যালয়ের নামে মাঠ রেকর্ড ও ডিপি খতিয়ান প্রস্তুত করেছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। তিনি আরো জানান, স্বত্ব দখলী ও ভোগদখলীয় জমিতে বে-আইনী দাবি শোভা ও সৃজিত মাঠ রেকর্ড মূলে জমি বে-দখল করার অপচেষ্টা করছেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। উক্ত অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকা ও বাদীর শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে কোন প্রকার বিঘ্ন ঘটাবেন না মর্মে আগামী ৭ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে। যথাযথ জবাব না দিলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবি। 

নোটিশের বাদী পক্ষের সৈয়দ রায়হানুল হক জানান, পৈত্রিক সুত্রে দখলদার হয়ে জমিতে বিভিন্ন জাতের গাছের বাগান ও গৃহস্থালী কাজে ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি অসৎ উদ্দেশ্যে বিগত জরিপ আমলে ওই জমি মাঠ রেকর্ড ও ডিপি খতিয়ান বিদ্যালয়ের নামে প্রস্তুত করেন।

এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতলুবর রহমান জানান, শুনেছি উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তা এখনো হাতে পাইনি। নোটিশ হাতে পেলে ম্যানেজিং কমিটির সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।