- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- জব্বার রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জব্বার রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ মো. আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই পরোয়ানা জারি করেন।
গতকাল রোববার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহিদ ইমাম ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জব্বারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন।
জব্বারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, নির্যাতনসহ পাঁচ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মাসে তদন্ত সংস্থা জব্বারের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে।
বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আজ ওই অভিযোগ উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহিদ ইমাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে অভিযোগ আমলে নিয়ে জব্বারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছেন। গত বছরের ১৯ মে তদন্ত শুরু হয়ে গত ২৭ এপ্রিল শেষ হয়। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে এই ব্যক্তি সম্ভবত তদন্ত শুরুর আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থা।
সূত্র জানায়, জব্বার ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তার বড় মেয়ের বাসায় আছেন। সেখানে তার বড় ছেলে নাসির উদ্দিনও থাকেন।
জাহিদ ইমাম জানান, ফরমাল চার্জের সঙ্গে ৯৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন, ৬ খণ্ডের কেস ডায়েরি, সচিত্র প্রতিবেদন, ‘একাত্তরের ঘাতকেরা’ ভিডিও ইত্যাদি জমা দেওয়া হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, গণহত্যা, ধর্মান্তরিতকরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ৫টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৩৬ জনকে হত্যা ও গণহত্যা, ২০০ জনকে ধর্মান্তরিতকরণ এবং ৫৫৭টি লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার অপরাধের ঘটনাস্থল মঠবাড়িয়ার ফুলঝড়ি, ললি ও আঙ্গুলকাটা।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে সাক্ষী করা হয়েছে ৪৬ জনকে। তাদের মধ্যে ৪০ জন ঘটনার এবং ৬ জন জব্দ তালিকার সাক্ষী।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।