রাজধানী জুড়ে শুরু হয়েছে গাড়ির কালো গ্লাসবিরোধী অভিযান।

কালো গ্লাসের গাড়ি দেখলেই পুলিশ দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে গাড়িগুলো। যে গাড়িগুলোতে কোম্পানি থেকেই কালো গ্লাস লাগিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র সেই গাড়িগুলোই রেহাই পাচ্ছে। আর পরে যে গাড়িগুলোর গ্লাস কালো করা হয়েছে, সেই গাড়িগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। মামলা ঠুকে দিচ্ছেন সার্জেন্টরা। পাশাপাশি পরে লাগানো কালো আবরণটি খুলে মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে দিচ্ছেন।

এদিকে, কোথাও কোথাও অভিযানে ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনারও মাঠে অবস্থান করছেন। ট্রাফিক সার্জেন্টদের সহায়তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যও দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে রাজধানীর উত্তরা, গুলশান, বাড্ডা, মহাখালী, বিজয় সরণী, শাহবাগ, ফার্মগেট, আসাদগেট, কলাবাগান, ধানমণ্ডি, পল্টন, মালিবাগ, শান্তিনগরসহ পুরো রাজধানী জুড়ে ট্রাফিক পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে কালো গ্লাস লাগানো গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কালোগ্লাসের গাড়ি আটক করে পরে লাগানো গ্লাসের কালো আবরণটি তুলে মামলার কাগজপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিচ্ছেন।

ঢাকা উত্তর বিভাগের উপকমিশনার সাবিদ হোসেন জানান, আমরা এই বিভাগের তিনটি স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। চেকপোস্টগুলো হলো উত্তরা, গুলশান ও বাড্ডা।

তিনি বলেন, যে গাড়িগুলোতে কোম্পানি থেকেই কালো গ্লাস লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি না। কিন্তু, পরে যারা কালো গ্লাস বা আবরণ দিয়েছেন, কিন্তু সরকারি নির্দেশনার সময় পর্যন্ত সেগুলো বদলাননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

অভিযান প্রসঙ্গে গুলশানে ট্রাফিক পুলিশের কর্তব্যরত সার্জেন্ট নাজমুল হাসান জানান, তিনি এখন পর্যন্ত কালোগ্লাসের গাড়িবিরোধী অভিযানে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন, নোটিশ দেওয়ার পরও যারা গাড়িতে স্বচ্ছ কাচ ব্যবহার করছেন না, আমরা তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান শুরু করেছি। তিনি বলেন, কালোগ্লাসের গাড়ির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা সেটা মেনে চলছি।

সম্প্রতি, দেশে অপহরণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কালোগ্লাস লাগানো গাড়িগুলোকে সাদা গ্লাস করার পরামর্শ দেয়। একই সঙ্গে যারা এই নির্দেশ মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এ জন্য সর্বশেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয় ১০ মে।