- হোম
- >
- শিল্প-সাহিত্য
- >
- সাঁওতালি ভাষায় প্রকাশিত হল গীতাঞ্জলি
সাঁওতালি ভাষায় প্রকাশিত হল গীতাঞ্জলি
ফাইটার তখন রাইটার৷ পৃথক ঝাড়খণ্ড গঠনে তিনি ছিলেন আন্দোলনকারী। এখন সাঁওতালি সাহিত্য সমৃরি আন্দোলনে। ঝাড়খণ্ডের সূর্য সিং বেসরা সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের।
কবিগুরুর জন্মদিনে শান্তিনিকেতনে আনুষ্ঠানিকভাবে যার উদ্বোধন করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত, গ্রন্থন বিভাগের ডিরেক্টর রামকুমার মুখোপাধ্যায় শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনে প্রকাশ করলেন সেরেঞ আগ্নি।
১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পাওয়া ১০৩টি কবিতার অনুবাদ করেছেন পেশায় রাজনীতিবিদ সূর্যসেন বেসরা। বিশ্বভারতীর উদ্যোগে ২৬০ পাতার প্রকাশিত এই বইয়ে একপাতায় বাংলা হরফে সাঁওতালি উচচারণে কবিতার অনুবাদ। অন্য পাতায় অলচিকি হরফে সাঁওতালি ভাষায় একই কবিতা।
বিশ্বভারতীর ভাষা ভবনের অ্যাসিস্ট্যাণ্ট প্রফেসর সনত্ হাঁসদা বলেন, কবিগুরুর ভাবটি সাঁওতালি অনুবাদের এই বইটিতে অনেকাংশে আছে। এই অনুবাদে সাঁওতালি সাহিত্য অনেক সমৃদ্ধ হবে।
যে আদিবাসীদের টানে কবিগুরু লালমাটির দেশে এসেছিলেন। যাঁদের নিয়ে নানা সৃষ্টি করেছেন কবিগুরু। আজ তাঁরা তাঁদের মাতৃভাষায় কবিগুরুকে পড়তে পারবেন।
এর আগেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অধ্যাপক সুধীর মিত্র এবং শ্রীকান্ত সোরেন গীতাঞ্জলির সাঁওতালি ভাষায় অনুবাদ করেছেন।
কিন্তু বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হল সেরেঞ্চ আগ্ণিকে সূর্যবাবু বলেন, পারুলিয়া মিডিল স্কুলে পড়ার সময় কবিগুরুর লেখা সকালে উঠিয়া... ঠিকমতো বলতে না পারায় কান ধরে রোদে দাঁড়াতে হয়েছিল। সেই লজ্জা কিছুটা দূর হল কবিগুরুর গীতাঞ্জলি নিজের মাতৃভাষায় অনুবাদ করতে পেরে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।