কিডনি আমাদের শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অঙ্গ। এককথায় এটি আমাদের শরীরের জন্য ছাঁকনি বিশেষ। এটি শরীর থেকে পানি ও নোংরা পদার্থ বের করে দেওয়ার কাজটি নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের শরীরে দুটি কিডনি থাকে_ যা প্রতিদিন প্রায় ১৭০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে, যা শরীরের সুস্থতার জন্য একান্ত অপরিহার্য।

একটি কিডনিই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট কিন্তু কিডনিটি নষ্ট হয়ে গেলে কিডনি সংযোজন ব্যতীত আর কোনো পথই থাকে না। ডায়ালাইসিস করে কিছুদিন বেঁচে থাকা যায়। তবে সেক্ষেত্রে মৃত্যুকে ঠেকানো সম্ভব হয় না। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখা বিশেষ প্রয়োজন। একটি কিডনি অকেজো হলে আরেকটি কিডনি যাতে জীবন বাঁচাতে পারে সেজন্য সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

কিডনি সমস্যার লক্ষণগুলোঃ

বমিবমি ভাব, দুর্বলতা, অসুস্থতা অনুভব, গা, হাত ও পায়ে ব্যথা, প্রস্রাব কমে যাওয়া, রক্তহীনতা ও শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।

কিডনি সমস্যায় ডায়াগনোসিসঃ কিডনি রোগ কিংবা কিডনিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না তা জানা খুবই সহজ। এজন্য প্রস্রাব পরীক্ষা, রক্তচাপ এবং রক্তের ক্রিয়েটিনিন ও সুগার পরীক্ষা করতে হয়।

কিডনি সুস্থ রাখতে যা করবেনঃ প্রচুর পানি খেতে হবে। শরীরের ওজন ও জীবিকা অনুযায়ী প্রতিদিন কমপক্ষে ৪-৫ লিটার পানি খেতে হবে। প্রস্রাব চেপে রাখা যাবে না। পরবর্তী সময়ে এটাই রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। ব্যথা কমানোর ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবনে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ৪০ বছর পার হয়ে গেলে নিয়মিত ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত। বছরে দুবার বাড়তি সতর্কতা হিসেবে প্রস্রাবে মাইক্রোঅ্যালবুমিন পরীক্ষা করা দরকার। প্রস্রাবে সামান্যতম সমস্যা মনে হলেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

সাহস২৪.কম/এফএ.