- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- জয়পুরহাটে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ পূরণ না হওয়ার আশংকা
জয়পুরহাটে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ পূরণ না হওয়ার আশংকা
চলতি ইরি বোরো মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ বাঁধাগ্রস্থ এবং টার্গেট পূরণ না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এবার সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি চাল ৩১টাকা এবং ধান কেজি প্রতি ২০টাকা দরে সারা দেশে বোরো মৌসুমে সংগ্রহ করা হবে ৯লাখ মেট্রিকটন চাল এবং ধান সংগ্রহ করা হবে দেড় লাখ মেট্রিকটন। তবে বর্তমান নির্দেশ মোতাবেক এখন পর্যন্ত জয়পুরহাট জেলার কোন মিলারকে চুক্তির আওতায় আনতে পারেনি জেলা খাদ্য বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট খাদ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী জয়পুরহাট জেলায় ২হাজার ৭শ২মেট্রিকটন ধান এবং চাল সংগ্রহ করা হবে ২৪হাজার ৪শ৯৪মেট্রিকটন।
মিলারদের অভিযোগ সংগ্রহ অভিযানের নির্দেশে বিবর্ণ, বিনষ্ট ও মরা এই তিন প্রকৃতির চাল শতকরা ১ভাগ নেওয়া হবে, যা গত মৌসুমে ছিল শতকরা ৩ভাগ। তাছাড়া এবার পেট সাদা বা অর্ধ সিদ্ধ চাল নেওয়া হবে না। এ ছাড়া গত বোরো মৌসুমে চুক্তিকৃত যেসব চাউল কল সরকারী গুদামে ধান-চাল সরবরাহ করতে পারেনি তারাও চলতি ধান-চাল সংগ্রহ মৌসুমে অংশ গ্রহন করতে পারবেনা।
এদিকে দেশের অধিকাংশ হাসকিং মিলে কোন কালার সটার মেশিন না থাকার ফলে খাদ্য অধিদপ্তরের এমন পরিপত্র অনুযায়ী চাল সরবরাহ করতে পারবেনা তারা। এদিকে এমন নির্দেশ থাকার কারণে এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোন চাউল কলই চুক্তির আওতায় আসেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অটোমেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির আহ্বায়ক কেএম লায়েক আলী ।
ফলে সারা দেশে এবার ধান চাল সংগ্রহ অভিযান অনেকটায় ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন তারা। পাশাপাশি কেজি প্রতি চালের মুল্য পূর্ণ বৃদ্ধিরও দাবী জানিয়েছেন চাউল কল মালিকরা।
সরকারী ভাবে ১ মে থেকে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও জেলায় এখন পর্যন্ত কোন মিলই চুক্তির আওতায় আসেনি। কাজেই চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়নি।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক চৌধুরী মোছাব্বের হোসেন খান, জানান অচিরেই মিলারদেরকে চুক্তির আওতায় আনা সম্ভব হবে এবং মিলাদের সঙ্গে সর্বশেষ চুক্তির সময় হচ্ছে আগামী ২০ মে পর্যন্ত। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে জেলার লক্ষ্যমাত্রা পুরন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান গত ৪ মে জেলা খাদ্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভায় সরকারি এ নির্দেশ সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য জানানো হয়েছে । সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী একজন কৃষক সর্বনিম্নে ৪০ কেজি এক বস্তা আর সর্বোচ্চ ৭৫ মন ধান কৃষি উপকরন সহায়ক কার্ড প্রদর্শন পূর্বক দিতে পারবে।
জেলার মোট ৭টি খাদ্য গুদাম রয়েছে যার ধরণ ক্ষমতা ২১ হাজার ৫শ মেট্রিকটন। বর্তমান ধরণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় মাঝে মধ্যেই সমস্যাই পড়তে হয় খাদ্য বিভাগকে । তবে জেলার কালাই উপজেলায় ১ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতার ৫টি গুদাম তৈরি হচ্ছে এটি নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে এটি হস্তান্তর হলে এ সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছে খাদ্য বিভাগ।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।