- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ও সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল বাবর মোহাম্মাদ সেলিম (পিএসসি) ও সহকারী অধ্যাপক মো: মশিউর রহমান (শাখা প্রধান, প্রভাতী শাখা কলেজ) বিরুদ্ধে ঢাকা ৪র্থ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে আদালত আবমাননার মামলা দায়ের করেছে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক শ্যামলী হোসেন।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালত বিবাদীদের ৬ মাসের জেল ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক রাখার আদেশ কেন প্রদান করা হবে না মর্মে আগামী ৭(সাত) কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন।
আদালতে দেওয়া বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল বাবর মোহাম্মাদ সেলিম (পিএসসি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং কোন প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক শ্যামলী হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এর প্রেক্ষিতে শ্যামলী হোসেন গত ৪মে ঢাকার ৪র্থ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত " সাময়িক বরখাস্ত করণ আদেশ অসৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত, বে-আইনি, অকার্যকর ও তার উপর বাধ্যকর নয় মর্মে ঘোষণার ডিক্রী এবং উক্ত আদেশের বলে তার চাকুরিতে যাতে কোন প্রকার বাধাবিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী প্রার্থনা করেন"
আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত বাদীর মতে কেন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হবে না তা জানতে চেয়ে আগামী ৭(সাত) দিনের মধ্যে অধ্যক্ষ কর্নেল বাবর মোহাম্মদ সেলিম (পিএসসি) কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। একই সাথে সাময়িক বরখাস্তের আদেশের কার্যকরিতার স্থগিত করেন।
আদালতের এই নোটিশ পাওয়ার পর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল বাবর মোহাম্মাদ সেলিম (পিএসসি) ও সহকারী অধ্যাপক মো: মশিউর রহমান (শাখা প্রধান, প্রভাতী শাখা কলেজ) আদালতের নোটিশের জবাব না দিয়ে পুনরায় শ্যামলী হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান জানান, অধ্যক্ষ আদালত কর্তৃক নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে তার কোন জবাব না দিয়ে পুনরায় আমার মক্কেলকে শোকজ নোটিশ প্রদান করছেন। যা আদালত আবমাননার সামিল। এ কারণে আমার মক্কেল অধ্যক্ষ কর্নেল বাবর মোহাম্মাদ সেলিম (পিএসসি) ও সহকারী অধ্যাপক মো: মশিউর রহমান (শাখা প্রধান, প্রভাতী শাখা কলেজ) বিবাদী করে ঢাকার ৪র্থ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, আদালত কর্তৃক গত ৫মে প্রদত্ত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা ও স্থগিতাদেশ অমান্য করার অপরাধে অধ্যক্ষ কর্নেল বাবর মোহাম্মাদ সেলিম (পিএসসি) ও সহকারী অধ্যাপক মো: মশিউর রহমান (শাখা প্রধান, প্রভাতী শাখা কলেজ) কে ৬মাসের দেওয়ানী জেলে আটক রাখা এবং স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হবে না মর্মে দেওয়ানী কার্যবিধী আইনের ৩৯ আদেশের ২(৩) নিয়ম আগামী ৭(সাত) কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন।
বাদী শ্যামলী হোসেন জানান, অধ্যক্ষ কর্নেল বাবর মোহাম্মাদ সেলিম (পিএসসি) এর বিভিন্ন প্রকার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের নোটিশ উপক্ষা করে অন্যায় ভাবে একের পর এক অপবাদ ও নোটিশ দিয়ে যাচ্ছে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।