যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম ৩ নারী সাবমেরিন কর্মকর্তা
যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মত সাবমেরিন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিন নারী। এর মাধ্যমে ১১০ বছরের ইতিহাসও বদলে দিয়েছেন তারা।
লেফটেন্যান্ট ম্যাক্সিনে স্তিলিস, অ্যালেক্স অলসন ও পেনি থ্যাকরে নামে ওই তিন লেফটেন্যান্ট প্রথম নারী হিসেবে রয়েল নেভি সাবমেরিন সার্ভিসে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতে যাচ্ছেন।
কয়েক মাস বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ওই তিন নারী ‘ডলফিন’ নামে ব্যাজ অর্জন করেন। সাবমেরিন কর্মকর্তাদের জন্য ‘ডলফিন’ অত্যন্ত মূল্যবান। বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারলেই কেবল এই ব্যাজ প্রদান করা হয়।
ডুবোজাহাজের নারী নাবিকদের স্বাগত জানিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিপ হামমন্ড বলেন, ‘প্রথমবারের মত রয়েল নেভি সাবমেরিন সার্ভিসে যোগ দেওয়া তিন নারী সদস্যকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। তাদের কর্মজীবনের জন্য রইল শুভ কামনা। পেশাগত দক্ষতা তৈরির জন্য আমাদের সেনাবাহিনীতে রয়েছে বিশাল সুযোগ। আপনি নারী না পুরুষ তাতে কিছু যায় আসে না। নারীদের ডুবোজাহাজের নাবিক হিসেবে যোগদান আমাদের বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
গত কয়েক বছরে যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনী রয়েল নেভিতে নারী সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ২০ বছর আগে রয়েল নেভির নারী সদস্যদের কাজ কেবলমাত্র জাহাজেই সীমিত ছিল।
২০১১ সালে ফিলিপ হামমন্ড প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর ডুবোজাহাজে নারীদের কাজের ওপর থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। এরপর থেকেই রয়েল নেভির প্রতিটি শাখায় নারীদের কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়।
শুরুতে নারী কর্মকর্তাদের এইচএমএস ভিজিল্যান্ড নামে এক ডুবোজাহাজে কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। ডুবোজাহাজটি ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম। আগে কেবল পুরুষরাই এ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারতেন।
এ ছাড়াও কিছু শ্রমসাধ্য পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় ওই নারী সাবমেরিন কর্মকর্তাদের। সব পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে পাস করতে পারলেই ‘ডলফিন’ ব্যাজ ধারণ করা সম্ভব।
লেফটেন্যান্ট ম্যাক্সিনে স্তিলিস তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এভাবে, ‘ডলফিন ব্যাজ পেয়ে আমি ভীষণ আনন্দিত। আমি এখন সাবমেরিন সার্ভিসের অংশে পরিণত হয়েছি। অংশীদার হয়েছি এই বাহিনীর ঐতিহ্য ও গৌরবেও। একটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের মাধ্যমে আমি প্রথম সমুদ্র তলদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা লাভ করি, যা আমি এ জীবনে ভুলব না। এটা ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে এই অভিজ্ঞতা অসাধারণ।
সাহস২৪.কম/এফএ.
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।