শ্রীলঙ্কায় মাছবৃষ্টি!
বৃষ্টির সাথে শিল পড়ে, যাকে আমরা বলি শিলাবৃষ্টি। কিন্তু যদি মাছ পড়ে? মাছবৃষ্টি! বিষয়টি গল্পেই হয়ে থাকে। কিন্তু, এটা বাস্তবে ঘটেছে পশ্চিম শ্রীলঙ্কার চিলওয়া জেলার একটি গ্রামে। সোমবার এই অদ্ভুত বৃষ্টি হয়েছে। তবে অদ্ভূত ছোট মাছের বৃষ্টিতে গ্রামবাসী আশ্চর্য হলেও তারা খুবই আনন্দিত হন। বৃষ্টিতে প্রায় ৫০ কেজি মাছ গ্রামটির বাড়ির ছাদে এবং রাস্তায় ঝরে পড়ে। কিছু মাছ ৫ থেকে ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা ছিলো এবং গ্রামবাসী মাছগুলোকে বালতিতে জিইয়ে রেখেছে।
তবে শ্রীলঙ্কায় এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ২০১২ সালে ‘চিংড়ি বৃষ্টি’ হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়। তখন আকাশ থেকে ঝরে পড়েছিল নানা আকারের চিংড়ি। যেগুলোর রঙ ছিল লাল ও হলুদ।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ‘মাছ-বৃষ্টি’ অস্বাভাবিক হলেও প্রকৃতিতে এটা ঘটে থাকে। মাছসমৃদ্ধ কোনো কম গভীরতার জলাশয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণিবায়ুর কেন্দ্র বয়ে গেলে এমন জলঘূর্ণি ঘটতে পারে। এ সময় পানিতে থাকা মাছ, ব্যাঙসহ সবকিছুই ঘূর্ণিবায়ুর সঙ্গে আকাশে উঠে যায়। আকাশে উঠে যাওয়ার পর ঝড়ের সঙ্গে অনেকদূরে চলে যেতে পারে এসব জলজ প্রাণীও। এমনকি এই জলঘূর্ণি থেমে যাওয়ার পরও মেঘের স্তরের কারণে এরা সাময়িকভাবে আটকে থাকতে পারে ওপরেই। আর ঝড়, জলঘূর্ণি থেমে গেলে মেঘের ভেতর থেকে ঝরে পড়তে শুরু করে জলজপ্রাণীগুলো। সাধারণত মাছ-বৃষ্টি এমনই হয়।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।