ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠ সানতিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-২ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগায় শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বাঁধা এসেছে। এর আগে দিনের শুরুতে লীগ টেবিলের শীর্ষে থাকা এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ লেভান্তর বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত হওয়ায় রিয়ালের সামনে দারুন এক সুযোগ তৈরী হয়েছিল। কিন্তু কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। রোববার এই ম্যাচে জয়ী হতে পারলে রিয়ালের সামনে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের সুযোগ অনেকটাই প্রসারিত হয়ে যেত।

ইনজুরি টাইমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর গোলে সমতা ফিরিয়ে কোনরকমে ম্যাচটি রক্ষা করে রিয়াল। আর তাই ১৮ বছরের মধ্যে প্রথম লা লিগার শিরোপা জয়ে এ্যাথলেটিকোর এখন শেষ দুই ম্যাচে মাত্র চার পয়েন্ট হলেই চলবে। এর আগে শনিবার ন্যু ক্যাম্পে গেতাফের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার শিরোপা স্বপ্নও কার্যত শেষ হয়ে গেছে।

ম্যাচ শেষে রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘এই ড্র আমাদের পথ আরো কঠিন করে দিল। কিন্তু আমি সবসময়ই বলে এসেছি এবারের লীগ শিরোপা নির্ধারনে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সপ্তাহের শেষটা বড় তিন দলের জন্যই খারাপ কেটেছে। আর তাই শিরোপার দ্বার এখন আরো বেশী উন্মুক্ত হয়ে গেল।’

প্রায় একমাস পরে লীগে রোনাল্ডো এবং গ্যারেথ বেল একসাথে মূল একাদশে খেলতে নেমেছিলেন। এই দুজন মিলে ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই রিয়ালকে এগিয়ে দেবার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বেলের দারুন পাস থেকে রোনাল্ডো শট নিলেও তা ভ্যালেন্সিয়ার গোলরক্ষক দিয়েগো আলভেসের হাতে সরাসরি ধরা পড়ে। করিম বেনজেমার শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। কিন্তু ১৬ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়া প্রথম রিয়ালের দূর্গে আঘাত হানার সুযোগ পায়। ডানি পারেজোর শক্তিশালী হেড দিয়েগো লোপেজ দারুনভাবে রক্ষা না করলে সফরকারীরা হয়ত তখনই এগিয়ে যেতে পারতো। তবে ৪৪ মিনিটে আর ভুল করেননি জেরেমি ম্যাথিউ। কর্ণার থেকে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন এই ডিফেন্ডার।

বিরতির পরে পাকো আলকাসার ব্যবধান প্রায় দ্বিগুনই করে ফেলেছিলেন। কিন্তু এবারো গোলবারে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান লোপেজ। এরপরপরই রোনাল্ডোর জোড়ালো শট কোনরকমে রক্ষা করেন আলভেস। কিন্তু ৫৯ মিনিটে সার্জিও রামোসের হেড গোলের ঠিকানা খুঁজে পেলে ম্যাচে সমতা ফেরায় স্বাগতিকরা। কিন্তু রিয়ালের এই সমতা মাত্র পাঁচ মিনিট স্থায়ী ছিল। ফেগোলির ক্রস থেকে পারেজো আবারো ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন। তবে শেষ মুহূর্তে রিয়ালের জন্য ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন সেই রোনাল্ডোই। স্টপেজ টাইমের দ্বিতীয় মিনিটে এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার ব্যকহিল থেকে আলভেসকে কাটিয়ে রোনাল্ডো বল জালে জড়ালে কোনরকমে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। এটি ছিল

রিয়ালের পক্ষে পর্তুগীজ তারকা ৫০তম গোল।এই হারের ফলে ৩৬ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকলো এ্যাথলেটিকো। সম সংখ্যক ম্যাচ থেকে ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বার্সেলোনা। আর এক ম্যাচ কম খেলে রিয়ালের সংগ্রহ ৮৩।

সাহস২৪.কম/এফএ.