পদত্যাগ কেন করবো? : এরশাদ
দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে যথেষ্টই অসন্তুষ্ট হলেও পদত্যাগের খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ।
আজ সোমবার একটি ইন্টারনেট সংবাদপত্রে পদত্যাগের খবর প্রকাশ হওয়ার পর এরশাদকে টেলিফোন করা হলে তিনি বলেন,'আমি কেন পদত্যাগ করব? আমি পার্টির সুপ্রিম অথরিটি।'
'আমি কিছুটা অসন্তুষ্ট, কিন্তু এই মুহূর্তে পদত্যাগের কোনো সিদ্ধান্ত আমার নেই।'
অসন্তুষ্টির কারণ জানতে চাইলে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করে সাবেক এই সামরিক শাসক বলেন, 'সেটা আমি কেন বলব?'
বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, বর্জনের ঘোষণা দিয়েও দশম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ, বিরোধী দলে থেকে আবার সরকারে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণসহ নানা ঘটনায় এরশাদ দলে চাপে রয়েছেন।
এর মধ্যেই ঐ অনলাইন সংবাদপত্রটিতে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, এরশাদ দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
এরশাদ বলেন, 'আমি কার কাছে পদত্যাগপত্র দেব? সবকিছুর তো একটা সিস্টেম আছে।'
জাতীয় পার্টিতে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের প্রক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি যদি পদত্যাগ করতে চাই, তাহলে পার্টির প্রেসিডিয়াম কমিটির মিটিং আহ্বান করতে হবে, সেখানে আলোচনা করে আমি অব্যাহতি নিতে পারি।'
এই বিষয়ে বাবলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, এটি পুরোপুরি 'ভিত্তিহীন ও অসত্য' খবর।
'যদি এ রকম কোনো ঘটনা ঘটত, তাহলে তো আমি নিজেই আপনাদের জানাতাম। আর আমার কাছে কোনো চিঠি এলে তো অন্তত আমি নিজে জানতাম, তাই না?'
উল্লেখ্য, সংসদ নির্বাচনের তিন মাসের মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিবের পদে আসেন বাবলু। তার আগে মহাসচিব ছিলেন এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
জাতীয় পার্টিতে রওশন এরশাদের আস্থাভাজন বাবলু আওয়ামী লীগেরও ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।
গত রবিবার দলের এক সভায় রওশন এরশাদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঙ্গে এইচ এম এরশাদ।
গত রবিবার দলের এক সভায় রওশন এরশাদ ও জিয়াউদ্দিন বাবলুর সঙ্গে এইচ এম এরশাদ।
ভোটের পর থেকে জাতীয় পার্টি এরশাদ এবং রওশন এই দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে গেছে বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হলেও তা নাকচ করে আসছেন স্বামী-স্ত্রী দুজনই।
৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ার পর কয়েকবার সিদ্ধান্ত বদলে এক পর্যায়ে এরশাদও ভোটে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ঐ ঘোষণা দেওয়ার পর নাটকীয় অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। হাসপাতালে থেকেই রংপুর-৩ আসনে ভোটে জয়ী হন এরশাদ।
তার দল জাতীয় পার্টি বিএনপির অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়ে সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে।
নানা গুঞ্জনের মধ্যে এরশাদ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূতের দায়িত্বও গ্রহণ করেন। রওশন হন সংসদে বিরোধী দলের নেতা।
বর্জনের ঘোষণা দিয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে এরশাদ বলছেন, 'সময় হলে' তিনি সব বলবেন। অন্যদিকে রওশনের বক্তব্য, যা কিছু ঘটেছে, এরশাদের সম্মতিতেই হয়েছে।
গত রবিবার দলের এক সভায় রওশনকে পাশে রেখে এরশাদ বলেন, দলে গণতন্ত্র চর্চায় এখন থেকে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন না তিনি। সবার মত নিয়েই দল পরিচালনা করা হবে।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।