১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জামায়াত ও শিবিরের মূল টার্গেটে ছিল রেল লাইন। জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা একের পর এক রেল লাইনে আগুন দেওয়া, রেল লাইন উপড়ে ফেলাসহ বিভিন্ন নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ডর ফলে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে বসেছিল। এমন সময় সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সারাদেশের রেল লাইন আনছার ও ভিডিপি সদস্যদের দিয়ে প্রতিদিন ৩২০ থেকে ৩৫০ দিন হাজিরায় পাহারার ব্যাবস্থা করা হয়।

কিন্তু জীবন বাজি রেখে যেসকল আনছার ও ভিডিপি সদস্যরা রেল লাইন দিনরাত পাহারা দিয়েছে আজও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তাদের দিন হাজিরার টাকা পরিশোধ করা হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চুয়াডাঙ্গা জেলা কমান্ড্যান্ট গত ৬ ডিসেম্বর ২০১৩ ইং তারিখে ৮৮৫ নং স্মারকের এক অফিস আদেশে দামুড়হুদা উপজেলায় রেল লাইনের ৪ টি পয়েন্টে ৮ জন করে ৩২ জন আনছার ও ভিডিপি সদস্যকে রেল লাইন নিরাপত্তার জন্য নিয়োগ দিতে উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

সে মোতাবেক দামুড়হুদা উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মওলা করিম রেল লাইনের ৪ টি পয়েন্টে ৮ জন করে ৩২ জন আনছার ও ভিডিপি সদস্যকে নিয়োগ দান করেন। এই ৩২ জন দিনরাত জীবন বাজি রেখে প্রায় ৩ মাস (৯০ দিন) রেল লাইন পাহারা দিয়ে রেল যোগাযোগ ব্যাবস্থা স্বাভাবিক রাখতে সহযোগীতা করে। কিন্তু যেসকল আনছার ও ভিডিপি সদস্যরা রেল লাইন দিনরাত পাহারা দিয়েছে আজও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে তাদের দিন হাজিরার টাকা পরিশোধ করা হয়নি। ফলে তারা বিভিন্ন ধারদেনায় জড়িয়ে পড়ে এখন তারা অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।

এব্যাপারে দামুড়হুদা উপজেলা আনছার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মওলা করিমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দৈনিক ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা হাজিরায় আমরা আমাদের কর্মীবাহিনী দিয়ে রেল বিভাগকে সহযোগীতা করেছি। রেল বিভাগ থেকে টাকা দিতে দেরি হওয়ায় আমরা তাদেকে তাদের পাওনা টাকা দিতে পারছিনা। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে এদের হাতে টাকা তুলে দিতে পারবো।