সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে রোববার রাতে আন্তঃনগর ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেসের নয়টি বগি কালবৈশাখীর কবলে পড়ে লাইনচ্যুত হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দিনাজপুরগামী ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ঝড়ের কবলে পড়ে একপাশে হেলে যায়। এ দুর্ঘটনার ফলে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

লাইনচ্যুত বগিগুলো নদীর বিপরীতে সড়ক সেতুর গার্ডারের দিকে হেলে পড়ে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা, পার্বতীপুর ও ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌছে ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। লাইনচ্যুত ট্রেনের বগিগুলোর উদ্ধার কাজ পুরোদমে চলছে। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে একটি বগি (৩০০১) রেল লাইনে উঠানো হয়েছে।

রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাপরিচালক আব্দুল আওয়াল ভূইয়া আশা প্রকাশ করে বলেন, আজ সন্ধা ৬টা নাগাদ লাইনচ্যুত ৯টি বগি উদ্ধার করে রেল চলাচল স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা ও ঈশ্বরদী থেকে আসা দুটি রিলিফ ট্রেনের সাহায্যে উদ্ধার অভিযান চলছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সন্ধ্যার মধ্যে উদ্ধার অভিযান শেষ হবে।

এদিকে এ ঘটনা তদন্তে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে ৪-সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন ও পুলিশ সুপার এস এম এমরান হোসেন এবং রেলওয়ের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।

বঙ্গবন্ধু সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, রোববার রাত ১১ টার দিকে এই ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে পৌঁছালে আকস্মিকভাবে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় ঝড়ের প্রচণ্ড দমকা হাওয়ায় ট্রেনটির পেছনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে সেতুর দক্ষিণ দিকে হেলে পড়ে।

ট্রেন দুর্ঘটনার পরপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্ব পাশে থাকা আর্মি ক্যাম্প থেকে সেনা সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করেন।