- হোম
- >
- কৃষিজ ও প্রাণিজ
- >
- জীবননগর খাদ্য গুদামে চাষিরা গম বিক্রি করতে পারছেন না
জীবননগর খাদ্য গুদামে চাষিরা গম বিক্রি করতে পারছেন না
নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এবং ফরিয়াদের সিন্ডিকেট থেকে চাষীদের রক্ষা করতে সরকার ন্যায্য মূল্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারীদের নিকট থেকে গম ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার কারণে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় সরকারি এ মহৎ উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।
সরকারের প্রজ্ঞা অনুযায়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্লক সুপারভাইজাররা প্রকৃত চাষিদের নামে প্রত্যায়ন পত্র দেবে। প্রত্যায়ন পত্র যোগ্য চাষিরা হলো কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডধারী কৃষক।
জীবননগর হাইস্কুল পাড়ার শামসুল আলম নামে কার্ডধারী এক কৃষক তার ক্ষেতের উৎপাদিত গম বিক্রির জন্য কৃষি অফিসে টোকেন আনতে। কিন্তু কৃষি অফিস থেকে জানানো হয় তাদের নিকট কোন টোকেন নেই। কৃষক শামসুল আলম টোকেন না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) বিষয়টি জানালে তিনি খোঁজ নিচ্ছি বলে চাষিকে আশ্বস্থ করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জীবননগর উপজেলায় মোট ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে গম আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে ৪ হাজার ৩২০ মেঃ টন গম উৎপাদন হবে। কৃষকদের উৎপাদিত গমের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে এ উপজেলায় এবার মাত্র ৩৭১ মেঃ টন গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া গম সংগ্রহ অভিযানে উপজেলায় ৩৭১ মেঃ টনের মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ১৭৬ টন গম সংগ্রহ করা হয়েছে।
জীবননগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাউসার আহম্মেদ প্রতি মেঃ টন গমে ১ হাজার টাকা উৎকোচ আদায়ের বিনিময়ে নিন্মমানের গম ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে সংগ্রহ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাউসার আহম্মেদের সাথে কথা বললে তিনি উৎকোচ আদায়ের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে চাষিদের নামে টোকন সংগ্রহ করে খাদ্য গুদামে বাজারের ব্যবসায়ীরা গম বিক্রি করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। চাষিরা উৎপাদিত গম সরকারি গুদামে বিক্রির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ অভিযোগ গম ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুর রহমানকে জানানোর পরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনিও এই দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত কি না তা নিয়ে চাষিদের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, উপর মহলের চাপ আছে আমাদের উপর। আমাদের নিকট থেকে প্রত্যায়ন লিখিয়ে নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে চাষিদের নামে টোকন বিতরণ হচ্ছে। এতে প্রকৃত চাষিরা বঞ্চিত হচ্ছে। ইউএনও গম ক্রয় কমিটির সভাপতি আমি ওই কমিটির একজন সদস্য মাত্র।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।