দাকোপ ও কয়রায় গৃহহীনদের পুনর্বাসনে ১২৫টি গৃহ নির্মাণ করবে খুলনা জেলা পরিষদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল, ২০১৪
প্রিন্টঅঅ-অ+
জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে খুলনা জেলার উপকূল এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীনদের পুনর্বাসনে ১২৫টি গৃহনির্মাণ করবে জেলা পরিষদ। ‘আশ্রয়স্থল হিসেবে গৃহনির্মাণ’ শীর্ষক এ প্রকল্পের আওতায় দাকোপ ও কয়রা উপজেলায় এ গৃহনির্মাণ করা হবে।
জেলা পরিষদের প্রশাসক বলছেন, ১২৫টি গৃহের অনুমোদন পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর ও ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলা নামক প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। এতে অন্তত ২০৯ জন লোকের প্রাণহানী হয়। বহু সংখ্যক লোক গৃহহীন হয়ে পড়ে। এসব গৃহহীনদের পুনর্বাসনে আশ্রয়স্থল হিসেবে জেলার কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাট ও পাইকগাছার কিছু অংশের গৃহনির্মাণের জন্য ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে একটি তালিকা পাঠায় জেলা পরিষদ। ওই তালিকায় ৫শ’ গৃহনির্মাণের কথা উল্লেখ করে ২৫ কোটি টাকা চাহিদা দেখানো হয়। এরপর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে তালিকাটি ফান্ডের জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় তালিকাটি তিনবারের মতো যাচাই-বাছাই শেষে ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্র“য়ারি অনুমোদন দেয়। কিন্তু টাকা স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলাকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র কয়রা ও দাকোপের ৫শ’ গৃহের মধ্যে ১২৫টি গৃহ নির্মাণের অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়। প্রকল্পে প্রতি ঘরে ৩ লাখ ২০ হাজার করে মোট ৪ কোটি টাকার ব্যয় ধরা হয়েছে। এটি বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের গত ৩১ মার্চ প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ ও ৭ এপ্রিল টেন্ডারের আহ্বান করেছে করেছে জেলা পরিষদ। আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।
জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদ জানান, আমরা ৫শ’ গৃহের ২৫ কোটি টাকা চাহিদা দেখিয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়নি। ২২৫টি গৃহ নির্মাণের জন্য ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
জেলা পরিষদের প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, উপকূল অঞ্চলে গৃহের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সিডর ও আইলায় অসংখ্য লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়া ওইসব এলাকায় লোনা পানির প্রাদুর্ভাব থাকায় অধিকাংশ কাঁচাঘর ধসে জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ছে। মানুষ খোলা আকাশের নিচেই বসবাস করছে। এ কারণে ওই এলাকায় অন্তত ১২শ’ গৃহনির্মাণ করে গৃহহীনদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসিত করা প্রয়োজন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের অর্থের স্বল্পতার কথা বলে অনুমোদন দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা পরবর্তীতে আরও চেষ্টা করবো এ ধরনের প্রকল্প আনার জন্য।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্য
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।