- হোম
- >
- আইন-মানবাধিকার
- >
- অনৈতিক সম্পর্কের সময় আটক চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন বরখাস্ত
অনৈতিক সম্পর্কের সময় আটক চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন বরখাস্ত
খুলনায় কথিত প্রেমিক সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের সময় আটক ও সরকারি ওষুধ চুরি দায়ে ডিবি পুলিশের দায়ের করা মামলায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমান ও তার প্রেমিক সাবিনা ইয়াসমিন বর্তমানে জেল হাজতে আটক।
এই ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমানের চাকরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করার পাশাপাশি তাকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত পত্রে এ আদেশ দেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন হিসেবে রাজশাহী ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল আজিজকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন হিসেবে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমান গত বৃহস্পতিবার ট্রেনযোগে খুলনায় গিয়ে খুলনা নগরীর ইকবালনগরের করিমাবাদ কলোনির একটি বাসায় তার কথিত প্রেমিকের সাথে অনৈতিক সম্পর্কের সময় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এসময় ওই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় প্রচুর পরিমাণের সরকারি ওষুধ।
পরদিন শুক্রবার ডা. খন্দকার মিজানুর রহমান ও তার কথিত প্রেমিকা সাবিনা ইয়াসমিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। অনৈতিক কাজ ও সরকারি ওষুধ চুরির দায়ে তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় খুলনা মেট্রোপলিটন হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। রোববার সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিনের আবেদন করা হলেও জামিন নামঞ্জুর হয়।
অপরদিকে ডা. খন্দকার মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এরই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন পদ থেকে তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়। একই সাথে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু প্রক্রিয়ার প্রেক্ষিতে মিজানুর রহমানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিভাগীয় তদন্তে ওষুধ চুরির বিষয়টিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে বলে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়ে বলেছে, ডা. মিজানুর রহমান সিভিল সার্জন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার যাবতীয় দুর্নীতির বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হতে পারে। ওষুধ চুরির সাথে কারা কীভাবে জড়িত তাও খতিয়ে দেখবে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, নগরীর ইকবালনগরের করিমাবাদ কলোনির একটি বাসায় বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন এবং ওই নারী অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে তাদের আটক করা হয়। আটক সাবিনা ইয়াসমিন নিজেকে আইনজীবী পরিচয় দেন। তবে আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ হোসেন রনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই নারী তাদের সমিতির সদস্য বা আইনজীবী নন।
সহকারী পুলিশ কমিশনার আরও জানান, আটক ওই নারী অবিবাহিত। ডা. মিজান ও ওই নারীর মোবাইলে পরস্পরের মধ্যে আপত্তিকর ম্যাসেজ আদান-প্রদানের প্রমাণও পাওয়া গেছে।
আটক সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমান পুলিশকে বলেন, ওই নারী তার রোগী ছিলেন। আর চিকিৎসা সূত্রেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। অভিযানে বিক্রি নিষিদ্ধ কিছু সরকারি ওষুধও উদ্ধার করে পুলিশ। এর কিছু ওষুধ ডা. মিজান নিজের ব্যবহারের জন্য এনেছিলেন। কিছু ওষুধ ওই নারীর বাসা থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আটকের পর ডা. মিজান ও সাবিনা ইয়াসমিনকে রাতে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
শুক্রবার সরকারি ওষুধ বাইরে বিক্রির অভিযোগে ডা. মিজানের বিরুদ্ধে একটি মামলা আর অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে উভয়ের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমানের বাড়ি খুলনার টুটপাড়ায়। তিনি প্রতি বৃহস্পতিবার ট্রেনযোগে করিমাবাদ কলোনিতে ওই নারীর সাথে সময় কাটাতে খুলনায় যেতেন।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।