নির্যাতনের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় পাষণ্ড স্বামী
আমারে আর মাইরেন না। আমি মারা যামু। আপনি আমারে রেহাই দেন। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে মৃত্যুর আগ মুহুতে যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে শেষ বিলাপ করছিল মাকসুদা। এর পর সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামী রানা। বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শিকদার মল্লিক ইউনিয়নে জুজখোলা গ্রামে এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
এলাকা সূত্রে জানাজায়, ঘটনার দিন স্বামীর চাহিদা মত উপডৌকন না নিতে পারলেও একই এলাকার বাপের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি চাল, ডাল এবং নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিস পত্র নিয়ে গেলে চাহিদা মত না নিতে পারায় রানা ক্ষিপ্ত হয়ে বেধরক মারতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের মাত্রাও বেড়ে যায়। এসময় বাঁচার জন্য মাকসুদা অনুনয় বিনয় করলেও মন গলেনি রানার। তার নির্যাতনের মাকসুদা মারা যাবার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয় রানা ও তার পরিবারের লোকজন।
গুরুতর আহত অবস্থায় পার্শবতি জেলার কচুয়া উপজেলার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
নিহতের মা হাসিনা বেগম বলেন, নবম শ্রেনীর ছাত্রী মাকসুদার সাথে একই এলাকার জাহাঙ্গির কাজী ছেলের সাথে এক বছর আগে বিবাহ হয়। এর পর থেকে প্রায় নির্যতনে শিকার হত তার মেয়ে। জাহাঙ্গির কাজি বাগেরহাটে জেলা প্রশাসকের ড্রাইভারের ছেলে বলে বখাটের মাত্রা তার আরও বেশি ছিল। এর আগেও সে আরেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। নিহতের মা আরও বলেন, আমার মেয়ের পড়াশুনাতো করতে পারলো না উল্টো জীবনটা কেড়ে নিল রানা।
একাধিক এলাকাবাসী জানান, বখাটে রানা এর আগেও বিয়ে করলে তাকেও মারপিট করলে সে এখান থেকে চলে যায়। পরে নবম শ্রেনীর ছাত্রী মাকসুদাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। প্রায় নির্যাতনে শিকার হলে তাদের ঘরে কাউকে না আসার হুমকি দিত। রানার বাবা বাগেরহাট জেলেরা ডিসির ড্রাইভার বলে সে এতটাই বেপরোয়া।
নিহতের বাবা মজিবর শেখ বলেন, মেয়ে মারা যাবার পর বাগেরহাট এবং পিরোজপুরের পুলিশের সাথে বহুবার এবিষয়ে জানিয়েছি। কিন্তু আমি দিনমজুর গরিব বলে কেউ আমার কথা শুনছে না। আমার মেয়ের লাশটা এখনও পরে আছে মর্গে।
এব্যপারে পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আঃ রাজ্জাক মোল্লা জানানা, লাশ যেহেতু বাগেরহাটে সে কারনে আমরা হস্থক্ষেপ করছি না । তবে পরিবার থেকে মামলা করতে চাইলে অবশ্যই আমরা পদক্ষেপ নিব।
সাহস২৪ ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। সাহস২৪ ডটকম-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এসব মন্তব্যের কোনো মিল নাও থাকতে পারে। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু নিয়ে সাহস২৪ ডটকম-এর কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো দায় নেবে না।