রক্তাক্ত সাতক্ষীরাকে যে কোন মূল্যে জামায়াত-শিবিরের হাত থেকে মুক্ত করা হবে। মানুষ আর সাতক্ষীরাকে রক্তাক্ত জনপদে হিসেবে দেখতে চায় না। তিনি সর্বস্তরের মানুষকে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেন। তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী তাদের সাথে রয়েছে। আমরাও তার সাথে রয়েছি।

তিনি বিএনপি নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি হাইকোর্ট নিষিদ্ধ করেছে। বিএনপি নেত্রী কি করবেন। তিনি নির্বাচনে আসেননি। ঘোষনা দিয়েছিলেন নির্বাচন প্রতিহত করার কিন্তু সেটিও পারেননি। অশান্তির কাজ করে জনগনকে অশান্তির মধ্যে ফেলছেন। সাতক্ষীরাকে একটি সম্ভাবনাময় জেলা উল্লেখ করেন।

সোমবার বিকালে সাতক্ষীরা সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

জেলা আ.লীগ সভাপতি ইজ্ঞি: মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো: নাছিম, আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: মাহবুবুল আলম হানিফ, দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এম.এম কামাল, পঙ্কজ দেবনাথ, কেন্দ্রীয় আ.লীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক অসিত বরন বিশ্বাস সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আ.লীগের আফম রুহুল হক এমপি, মুনসুর আহম্মেদ প্রমূখ।

এর আগে তিনি সার্কিট হাউজে জামায়াত-শিবিরের সহিংসতার স্বীকার হয়ে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ ১৭২টি পরিবারের মাঝে ১কোটি ৫৩লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করেন। ৭টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

জনসভা শেষে সাড়ে ৪টায় হেলিকাপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা ত্যাগ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিছিদ্র নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেছে এবং কঠোর নজরদারিতে রেখেছে সাতক্ষীরা। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে গোটা সাতক্ষীরা। সমাবেশ স্থল থেকে শুরু করে সকল স্থানে করা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়। প্রায় ১৫ হাজার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছে বলে জানা গেছে।